বাংলাদেশের সকল সরকারি কর্মচারীদের কে একটি নির্দিষ্ট বেতন স্কেলের মধ্যে রাখা হয়। ১ম গ্রেডের বেতন থেকে ২০ তম গ্রেডের বেতন স্কেল সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিদ্যমান রয়েছে। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে ১ম পে স্কেল গঠিত হয়। এরপর সর্বশেষ ২০১৫ সালে অষ্টম তম বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হয়েছিল। বিগত বছরগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় যে, সাধারণত ৫ বছর পর পর সরকার কর্তৃক নতুন পে স্কেল গঠিত হয়েছিল। কিন্তু নবমতম পে স্কেল প্রায় সাত বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও গঠিত হয়নি।
বর্তমান সারাবিশ্বেই বিভিন্ন রকম মন্দা চলছে। মহামারী করোনা ভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটাই হুমকির মুখে। বাংলাদেশে প্রায় সকল পন্নের মূল্যের দাম বেড়েই চলেছে। কিন্তু বাড়ছে না বেতন স্কেল। এ নিয়ে সরকারি চাকরিজিবিদের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। তারা নতুন পে স্কেলের জোরদার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের প্রায় সকল বর্ণের দাম ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও বাড়েনি সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন।
আমি লক্ষ্য করেছি যে অনেকেই ইন্টারনেটে জানতে চেয়েছেন যে, নতুন পে স্কেল কবে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন তথ্য আমি আপনাদের জন্য খুঁজে পাইনি। কিন্তু আশা করা যায় যে ১২ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অথবা পরে নতুন পে স্কেল অর্থাৎ নবম জাতীয় পে স্কেল গঠিত হতে পারে। নবম পে স্কেলের সর্বশেষ খবর বা নবম জাতীয় পে স্কেল নিয়ে বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
নতুন পে স্কেল কবে হবে ২০২৩
দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন পে স্কেল গঠিত হয়নি। সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অষ্টম জাতীয় পে স্কেল প্রণয়ন করা হয়েছিল। বর্তমানে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির কারণে সকল সরকারি চাকরিজীবীরা অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। তাই বাংলাদেশ সরকারের উচিত অতিদ্রুত ২০২৩ সালে নতুন পে স্কেল গঠন করা।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে বা জানতে চাই যে নতুন পে স্কেল কবে হবে হবে। সাধারণত বিগত বছর গুলোর পে স্কেলের দিকে তাকালে দেখা যায় প্রায় প্রতি পাঁচ বছর পরপর নতুন পে স্কেল গঠন করা হয়েছিল। ১৯৭৩ সালে প্রথম পে স্কেল এবং সর্বশেষ ২০১৫ সালে অষ্টম তম পে স্কেল প্রণয়ন করা হয়। এবার নবম পে স্কেল প্রণয়ন করার পালা। কিন্তু ২০১৫ সাল থেকে আজকে ২০২৩ সাল প্রায় আট বছর চলমান রয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত নতুন পে স্কেল গঠন হয়নি। তবে আশা করা যায় যে ১২ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই নতুন পে স্কেল অর্থাৎ নবম পে স্কেল এর ঘোষণা আসতে পারে।
ব্রেকিংঃ যেমন হওয়া চাই নতুন পে স্কেল। এখানে ক্লিক করে পড়ুন।
নবম জাতীয় পে স্কেল
এটা মধ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদ কর্তৃক নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন করা উপলক্ষে সাত দফা দাবি জানিয়েছে। এই প্রতিশোধটি বেতন বৈষম্য নিরসন সহ সাত দফা দাবি নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হয়েছে। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে পে কমিশন গঠন করে বৈষম্যমুক্ত নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন করা। ১১ থেকে ২০ তম গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তারা আরো বলেছে যে এ সকল দাবি না হলে তারা ধারাবাহিকভাবে মহাসমাবেশ করতে বাধ্য হবে
- বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছেঃ
- ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণ।
- বেতন স্কেল নির্ধারণে পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।
- সচিবলায়ের মতো সব দপ্তর, অধিদপ্তরের পদ ও পদবি পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।
- টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহালসহ বিদ্যমান গ্র্যাচ্যুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের পরিবর্তে ১০০ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে।
- পেনশন গ্র্যাচ্যুইটি ১ টাকা সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
- আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করে ওই পদ্ধতিতে নিয়োগ করা ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে।
মহার্ঘ ভাতা সর্বশেষ খবর জানুন এখানে
নবম পে স্কেলের সর্বশেষ খবর
৯ম পে- স্কেল সম্পর্কে এক কর্মকর্তা বলেন অর্থ বিভাগ এর বাস্তবায়ন শাখা এখন ৯ম বেতন স্কেল বাস্তবায়ন এর জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করছেে। ৯ম পে -স্কেল সম্পর্কে তিনি আরো বলেন সরকারের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হলে চলতি অর্থবছরের শেষের দিকে, জাতীয় নির্বাচন এর ঠিক আগে সরকার নতুন বেতন স্কেল ঘোষণা করতে পারে।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন ২০২২- ২০২৩ অর্থবছরে আমলাদের বেতন এর জন্য ৭৬,৪১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।যা বর্তমানে অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ব্যায় থেকে ৬.৬৬৬ কোটি টাকা বেশি। এখাতে প্রস্তাবিত বাজেটের ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে ।২০২১- ২০২২ অর্থবছরে এটা ছিল বাজেটের ১১.৫৫ শতাংশ। প্রতিটি খাতে বাজেটর সরকারি কর্মচারীদের , প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য নাগরিক সনদের বিধানের আমলাদের গুনগত দিকগুলো আরো উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে।
[২৫-০২-২৩] নতুন পে স্কেল এর সর্বশেষ খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন
প্রস্তাবিত নতুন পে স্কেল ২০২৩
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ কর্তৃক নতুন পে স্কেলের জন্য আন্দোলন করা হচ্ছে। এই সংস্থাটি সাত দফা দাবি জানিয়ে নতুন পে স্কেল গঠন করার দাবি জানিয়েছে। প্রস্তাবিত নতুন পে স্কেলের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম দাবি গুলো হচ্ছে ৯ম বেতন স্কেল নির্ধারণ করা, পে স্কেল নির্ধারণের সময় পে কমিশনের কর্মচারী প্রতিনিধি হিসেবে রাখতে হবে, বাংলাদেশ সচিবালয়ের মত সকল দপ্তরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রণয়ন করতে হবে। আউটসোর্স পদ্ধতি বাতিল করে সরাসরি রাজস্ব খাতে জনবল নিয়োগ করতে হবে।
এবার অনেকের মনে প্রশ্ন যে নতুন পে স্কেল অর্থাৎ নবম জাতীয় স্কেল কবে প্রণয়ন হবে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা সংকটজনক। তবে বাংলাদেশে ১২ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রস্তাবিত নতুন পে স্কেল গঠিত হতে পারে।
সর্বশেষ কথা
নতুন পেয়ে স্কেল কবে হবে ২০২৩ এই নিয়ে লিখিত আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে নবম জাতীয় পে স্কেল এর সর্বশেষ খবর এবং কবে গঠিত হবে এ বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি ইতোমধ্যে আপনি প্রস্তাবিত নতুন পে স্কেল সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এই ধরনের আরো তথ্য পেতে চাইলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
আরও দেখুনঃ
মহার্ঘ ভাতা কি? মহার্ঘ ভাতা সর্বশেষ খবর আজ ২০২৩
নবম পে স্কেল ২০২৩ এর সর্বশেষ খবর । যেমন হওয়া চাই জাতীয় পে-স্কেল
নতুন পে স্কেল কবে হবে? পে কমিশনের আজকের খবর জানুন
আমি সুজন। আমি বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা তে বসবাস করি। বর্তমানে আমি ঢাকা পলিটেকনিকে পড়ালেখা করছি। আমার পড়া লেখার পাশাপাশি আমি অনলাইনে লেখা লেখি করতে পছন্দ করি। বিশেষ করে টেকনোলোজি বিষয়ে লেখা লেখি করতে আমার ভাল লাগে। তাই আপনাদের জন্য আমি এই ওয়েবসাইট টি তৈরি করেছি। এখানে আপনি বাংলাদেশের অনালাইন সম্পর্কিত প্রায় সকল ধরনের তথ্য খুজে পাবেন। ধন্যবাদ।
Thanks.
বেসরকারী অবস্থা মারাত্মক করুন তাদের কি হবে?
বেসরকারীর অবস্থা মারাত্মক করুন তাদের কি হবে?
সরকার যেভাবে টালবাহনা শুরু করেছে মনে হয় যেন সরকার এখন আর মানুষের কাতারে নাই।