নতুন পে স্কেল কবে হবে? পে কমিশনের আজকের খবর জানুন

বাংলাদেশের সকল সরকারি চাকরিজীবীগণ একটি নির্দিষ্ট বেতন স্কেলের আওতায় রয়েছে। ১ম গ্রেড থেকে ২০ তম গ্রেডের বেতন প্রদান করা হয় সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য। ১৯৭৩ সাল থেকে এই স্কেল গঠন করা হয়েছিল। এরপর সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সর্বশেষ পে কমিশন গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের গঠনকৃত পে স্কেল টি ছিল অষ্টম জাতীয় পে স্কেল

দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও নতুন করে পে স্কেল গঠন করা হয় নাই। এদিকে দ্রব্যমূলের দাম অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ার কারণে সকল সরকারি চাকরিজীবীরা অনেক ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। তারা জানতে চায় নতুন পেয়ে স্কেল কবে হবে। এছাড়াও পে স্কেল গঠন নিয়ে তাদের বেশ কিছু দাবিদাওয়াও রয়েছে।

সুতরাং আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে পে কমিশনের আজকের সর্বশেষ খবর জানানোর চেষ্টা করব। অনেকেই ইন্টারনেটে নতুন পে স্কেল এর খবরা খবর পেতে চাই। আপনিও যদি সম্পর্কে আপডেট তথ্য পেতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

নতুন পে স্কেল কবে হবে?

বাংলাদেশের সকল সরকারীদের চাকরিজীবীদের মাঝে একটি প্রশ্ন তা হচ্ছে নতুন পে স্কেল কবে হবে। কেননা সর্বশেষ দীর্ঘ আট বছর পূর্বে ২০১৫ সালে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো হয়েছিল। এই আট বছরে প্রত্যেকটি দ্রব্যমূল্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এ কারণে তারা যে বেতন পেয়ে থাকে তা দিয়ে তাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে পারে না। এর জন্য নতুন পে স্কেল গঠন করা অনেক জরুরী হয়ে গিয়েছে।

প্রায় প্রতিদিনই ইন্টারনেটে হাজারো সরকারি চাকরিজীবী নতুন পে স্কেল কবে হবে তা জানতে চায়। সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছে যে এই মুহূর্তে নতুন করে পে স্কেল গঠন করার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে অথবা নির্বাচনের পরপরই নতুন গঠন করা হতে পারে। হঠাৎ নবম জাতীয় পে স্কেল গঠন হতে হতে আরো প্রায় এক বছর লেগে যেতে পারে।

পে কমিশনের আজকের খবর

নতুন পে স্কেল সম্পর্কে সর্বশেষ কত জানুয়ারি মাসে অর্থমন্ত্রী একটি নতুন ঘোষণা দিয়েছিল। এরপর আর কোন নতুন করে তথ্য বা নিউজ আসেনি। গত ১০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন ” এ মুহূর্তে নতুন পে-স্কেল নয়”। বর্তমান অর্থনীতির নাজুক পরিস্থিতিতে জনগণের কথা চিন্তা করে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কোন আর্থিক সুবিধা ঘোষণা করবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন মন্ত্রী মহোদয়। সরকারি কর্মচারীগণ আন্দোলন বেগবান না করতে পারলে এ বছরও কোন পে স্কেল বা মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা হচ্ছে না এটি স্পষ্ট করা হয়েছে।

আরও দেখুনঃ নবম পে স্কেল ২০২৩ এর সর্বশেষ খবর । যেমন হওয়া চাই জাতীয় পে- স্কেল

৯ম পে-স্কেল ঘোষণায় দাবীসমূহ

সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন পেয়ে স্কেল অর্থাৎ নবম পে স্কেল ঘোষণার কিছু দাবী দাওয়া রয়েছে। এ সকল দাবিগুলো নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক আন্দোলন হয়েও গিয়েছে। আপনি যদি এই দাবিগুলো সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন। বেতন ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আরো অনেকগুলো দাবি সরকারি চাকুরিজীবীগণ উল্লেখ করেছে।

  • বতমান বেতন কাঠামোতে ২০টি গ্রেডকে ১০টি গ্রেডে রূপান্তর এবং অন্তর্বর্তী ব্যবস্থায় ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান।
  • সচিবালয়ের মতো সমকাজে সমমর্যাদা ও পদবি পরিবর্তন ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।
  • টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেড পূনর্বহাল, পূর্বের মতো শতভাগ পেনশন প্রদানসহ পেনশন গ্র্যাচ্যুইটির হার এক টাকায় ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
  • বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট মূল বেতনের ২০ শতাংশ প্রদান এবং দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ন্যায্য মূল্যে মানসম্মত রেশন প্রদান, পাহাড়ি, পর্যটন ও দুর্যোগ ভাতা প্রদান করতে হবে।

দাবিগুলোর মধ্যে এগুলো হচ্ছে উল্লেখযোগ্য, এছাড়াও আরো অনেক দাবি তারা তাদের আন্দোলনে উপস্থাপন করেছিল। আশা করা যায় যে ৯ম পে স্কেলে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সকল সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর বইয়ে নিয়ে আসবে।

৯ম পে কমিশন ও মহগ্র ভাতা

এর আগে ১১ থেকে ২০ তম গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে নতুন বেতন কাঠামো গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। তবে নতুন এই পে স্কেল কবে গঠন করা হবে সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। নতুন বেতন কাঠামোই যাতে কোনরকম বৈষম্য না থাকে সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি চাকরিজীবীদের উল্লেখিত বেশ কিছু দাবি নিয়ে নতুন পেজ গঠন করা হবে।

অন্যদিকে পূর্বের 20% মহার্ঘ ভাতার বদলে সকল সরকারি চাকরিজীবন তাদের মহার্ঘ ভাতা ৪০ পার্সেন্ট করার দাবি জানিয়েছে। পূর্বে মূল বেতনের ২০% (বিশ শতাংশ) হারে মাসিক সর্বনিম্ন ১,৫০০/- (এক হাজার পাঁচশত টাকা এবং সর্বোচ্চ ৬,০০০/- (ছয় হাজার) টাকা মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু সরকারি চাকরিজীবীগণ তাদের মহার্ঘ ভাতা ২০% থেকে 40% উন্নীত করার দাবি জানায়।

সর্বশেষ কথা

দীর্ঘদিন যাবত নতুন পে স্কেল ঘোষণার কথা থাকলেও তা এখনও গঠন করা হয়নি। তবে আশা করা হচ্ছে যে অতি শীঘ্রই নতুন পে স্কেল গঠন করা হতে পারে। আজকের এই পোস্টে আমি আপনার সাথে পে কমিশনের আজকের খবর জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি নবম জাতীয় পে স্কেল সম্পর্কে কিছু তথ্য আজকের এই প্রশ্নের মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ

আরও দেখুনঃ

নতুন পে স্কেল কবে হবে ২০২৩ – নবম জাতীয় পে স্কেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *