৭ই মার্চ কি দিবস ২০২৩ । ৭ মার্চ কি সরকারি ছুটি?

১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহারাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্দোলনের ডাক দেন। তার এটাকে সাড়া দিয়ে বাংলার আপামর জনতা পাক হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ এর ভাষণ কে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণটিকে আন্তর্জাতিক মর্যাদায় স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।

স্বাধীনতার প্রায় ৫২ বছর, এখনো বাঙালি জাতি ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের কথা ভুলেনি। তাই তো ইন্টারনেটে হাজারো বাঙ্গালী ৭ই মার্চ কি দিবস তা জানতে চায়। এছাড়াও তারা ৭ই  মার্চ কি সরকারি ছুটি তাও জানতে চেয়েছে। আজকের এই পোস্টে আমি আপনার সাথে মহান ৭ ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব তাৎপর্য, এই দিন কি দিবস এবং সরকারি ছুটি কিনা এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আপনি যদি মহান সাত ই মার্চের ভাষণ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে অনুরোধ করব আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য। এবং মহান এই ভাষণ সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য। তাহলে চলুন দেরি না করে আজকের ৭ই মার্চ কি দিবস ও এইদিন সরকারি ছুটি কিনা তা জেনে নেই।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

এখন আমরা ঐতিহাসিক ৭ মার্চ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিব। ১৯৫২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশাল জনসমুদ্রের মাঝে স্বাধীনতা আন্দোলনের এক ভাষণ রেখেছিলেন। পরবর্তীতে এই ভাষণকে আন্তর্জাতিক মর্যাদা স্বীকৃতি ঘোষণা করা হয়েছে। নিচের অংশ থেকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ সম্পর্কে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন।

  • আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদানঃ ৩০শে অক্টোবর ২০১৭
  • দিবস হিসেবে ঘোষণা প্রদানঃ ১৫ অক্টোবর ২০২০
  • ভাষণের স্থায়িত্বকালঃ ১৮ মিনিট
  • সময়ঃ ২:৪৫ অপরাহ্ন — ৩:০৩ অপরাহ্ন
  • ভেন্যুঃ রেসকোর্স ময়দান (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান), পূর্ব পাকিস্তান

৭ই মার্চ কি দিবস ২০২৩

অনেকেই ইন্টারনেটে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ কি দিবস তা জানতে চেয়েছে। তাই এখন আমি আপনাদের সাথে এই দিবস সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করব। একজন বাঙালি জাতি হিসেবে এই তথ্যটি জেনে নেওয়া আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর ইউনেস্কো কর্তৃক ঐতিহাসিক এই ভাষণকে বৈশ্বিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

এরপর ২০২০ সালের ১৫ই অক্টোবর মন্ত্রী পরিষদ কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণকে ” ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস” হিসেবে ঘোষণা করার পরিপত্র জারি করে, এবং কি এই দিবসটিকে কো শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। এরপরে থেকেই সাত মার্চ সারা বাংলাদেশে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

৭ মার্চ কি সরকারি ছুটি

সকল চাকরিজীবী ভাই-বোনেরা ইন্টারনেটে ৭ মার্চ কি সরকারি ছুটি তা জানতে চায়। কারণ সরকারি ছুটি থাকলে তারা তাদের ফ্যামিলি পরিবার পরিজন নিয়ে একটু আলাদা সময় কাটাতে পারেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সাত ই মার্চ বাংলাদেশের সরকারি ছুটি নয়। কারণ এই দিনটিকে এখনো জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর এই দিনটিকে সাধারণ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর থেকেই সাতই মার্চ “ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস” হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

৭ মার্চ বিখ্যাত কেন

বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্স ময়দানের ভাষণের জন্য ৭ মার্চ বিখ্যাত। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রোজ রবিবার ঢাকার রেসকোর্স ময়দান (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল এক জনসমাবেশে বঙ্গবন্ধু ১৮ মিনিটের দীর্ঘ ভাষণ প্রদান করেন। এই ভাষণ ছিল পশ্চিম পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার। ভাষণের ফলে বাঙালি জাতি অনুপ্রাণিত হয়েছিল, যার কারণে তারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণের কারণে আমরা হানাদার বাহিনীদের সাথে যুদ্ধ করে আমাদের দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছিল। এ কারণেই সাতই মার্চ বিখ্যাত। ইউনেস্কো এই ভাষণটিকে আন্তর্জাতিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ এটি জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

সর্বশেষ কথা

আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে ৭ ই মার্চ কি দিবস এবং ৭ই মার্চ সরকারি ছুটি কিনা তা জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি পোষ্টের মাধ্যমে আপনি সাত মাস সম্পর্কে মোটামুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ৭ই মার্চ বাংলাদেশ শুধুমাত্র একটি সাধারণ দিবস, যেহেতু এটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি তাই এই দিন কোন সরকারি ছুটি বিদ্যমান নেই। আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আরও দেখুনঃ

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস স্ট্যাটাস ২০২৩

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ লিখিত ২০২৩ – Pdf collect

মার্চ মাসের সরকারি ছুটি ২০২৩ – দেখে নিন ৩ দিন ছুটি কবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *