প্রায় প্রতিনিয়তই শোনা যাচ্ছে যে নবম জাতীয় পে স্কেল অতিশীঘ্রই ঘোষণা হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও নতুন পে স্কেলের ঘোষণা আসতেছে না। এদিকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে সকল সরকারি চাকরিজিবি গণ অনেক বেহাল অবস্থায় রয়েছে। কারণ ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তারা একই বেতন ভাতার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু এদিকে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদের দাম হু হু করে বেড়েই চলেছে।
যার কারণে সকল সরকারি চাকরিজীবী গণ তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। এজন্য তারা বিভিন্ন রকম আন্দোলন বা জোরদার দাবি জানাচ্ছে নতুন পে স্কেল এর বেপারে। ইতিমধ্যেই ফেসবুকে বা অনলাইনে অনেকেই নবম পে স্কেল ২০২৩ এর সর্বশেষ খবরা-খবর জানতে চায়। ফেসবুকে জাতীয় পে স্কেল নিয়ে অনেক লেখালেখি হচ্ছে। অনেকেই আবার নতুন বেতন স্কেল কেমন হওয়া চাই তার একটি তালিকা তুলে ধরছে।
নবম পে স্কেল ২০২৩ এর সর্বশেষ খবর
অষ্টম পে স্কেল প্রকাশ হওয়ার প্রায় আট বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও নতুন করে নবম জাতীয় পে স্কেল ঘোষণার কোন তারিখ এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি। বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি চাকরিজীবীগণ যে বেতনাদি পেয়ে থাকে তা দিয়ে দৈনন্দিন খরচ চালানো অনেক কঠিন। এ কারণে তারা বেশকিছু দাবি জানিয়েছে তাদের নতুন পেয়ে স্কেলের ব্যাপারে।
দাবী গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বর্তমান ২০টি বেতন গ্রেড বাদ দিয়ে সর্বমোট ১২টি করতে হবে। এছাড়াও প্রতিবছর ১০% করে ইনক্রিমেন্ট প্রদান করতে হবে। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল সহ আরো অন্যান্য সুবিধা দিয়ে প্রদান করতে হবে। দাবিগুলো নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে নিচের দিকে দেখতে পারেন।
যেমন হওয়া চাই জাতীয় পে-স্কেল ২০২৩
২০১৫ সালের পর সরকারি চাকরিজীবীদের কোন বেতন স্কেল বাড়ানো হয়নি। দ্রব্যমূল্যের দাম দ্বিগুণ এর চাইতেও বেশি হবার পরেও তাদের বেতন আগের মতই রয়ে গেছে। এ কারণে তারা গভীর হতাশ। এদিকে নবম জাতীয় পে-স্কেল কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে নিজেদের মতো করে ভাবনা-চিন্তা করছেন সরকারি কর্মচারীরা।
মহার্ঘ ভাতা সর্বশেষ খবর জানুন এখানে
ইমরান হোসেন নামে একজন ফেসবুকে তুলে ধরেছেন ‘৯ম জাতীয় পে-স্কেল এমন হওয়া চাই’। তিনি সর্বমোট ১৫ টি পয়েন্ট তুলে ধরেছে। তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
১) বেতন গ্রেড হতে হবে ১২ টি। বেতনের অনুপাত হতে হবে ১:৫।
যেমন:-
১ম শ্রেণী:—
গ্রেড-১ ————————————– = ১০১০০০
গ্রেড-২ (পূর্বের ২,৩ গ্রেড)————— = ৮৬০০০
গ্রেড-৩ (পূর্বের ৪,৫ গ্রেড)————— = ৭৬০০০
গ্রেড-৪ (পূর্বের ৬,৭ গ্রেড)————— = ৬৬০০০
গ্রেড-৫ কেডার (পূর্বের ৮ গ্রেড)——- = ৫৬০০০
গ্রেড-৬ নন-কেডার (পূর্বের ৯ গ্রেড)– = ৫১০০০
২য় শ্রেণী:—
গ্রেড-৭ (পূর্বের ১০ গ্রেড)—————- = ৪৬০০০
গ্রেড-৮ (পূর্বের ১১,১২ গ্রেড)———– = ৪১০০০
৩য় শ্রেণী:—
গ্রেড-৯ (পূর্বের ১৩,১৪ গ্রেড)———– = ৩৬০০০
গ্রেড-১০ (পূর্বের ১৫,১৬ গ্রেড)——— = ৩১০০০
৪র্থ শ্রেণী—
গ্রেড-১১ (পূর্বের ১৭,১৮ গ্রেড)——— = ২৬০০০
গ্রেড-১২ (পূর্বের ১৯,২০ গ্রেড)——— = ২১০০০
২) প্রতি বছর ১০% করে ইনক্রিমেন্ট চাই।
৪) পদোন্নতি না দিতে পারলে প্রতি ৫ বছর পরপর উচ্চতর গ্রেড চাই। উচ্চতর গ্রেডের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা রাখা যাবেনা। উচ্চতর গ্রেড পেলে কমপক্ষে ২০% বেতন বৃদ্ধি হতে হবে।
৫) বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের ৬০% দিতে হবে। গ্রাম এবং শহর এর বেলা একই % বাড়ি ভাড়া দিতে হবে। তাহলে কোন কর্মচারী আর শহরে থাকার লোভ করবেনা। মূল বেতন বাড়ার সাথে সাথে বাড়ি ভাড়ার % কমানো যাবেনা।
৬) ভ্রমণ ভাতা মাসে ৩০০০ চাই।
৭) টিফিন ও লান্স ভাতা মাসে ৬০০০ চাই।
৮) চিকিত্সা ভাতা পুরো পরিবারের(৭জনের) মাসে ৭০০০ চাই।
৯) শিক্ষা ভাতা ১ সন্তান মাসে ৫০০০, ২ সন্তান মাসে ১০০০০ চাই।
১০) উত্সব ভাতা হিসেবে ২ টা মূল বেতন চাই (বছরে ২ বারে ৪ টি মূল বেতন চাই)।
১১) নববর্ষ ভাতা মূল বেতনের ৫০% চাই।
১২) শ্রান্তী বিনোদন ভাতায় ৩ টা মূল বেতন চাই।
১৩) বিদ্যুত বিল বাবদ ১৫০০ টাকা চাই।
১৪) গ্যাস বিল বাবদ ২০০০ টাকা চাই
১৩) পিতা মাতার ভাতা মাসে ৫০০০ চাই (পিতা মাতা জীবিত থাকলে পাবে, মৃত থাকলে পাবেনা)।
১৪) সময় সময় বাজার মূল্য/দ্রব্যমূল্য বাড়লে বেতন বৃদ্ধি করে সমন্বয় করতে হবে।
১৫) দুর্নীতি করলে (প্রমাণ হলে) চাকরিচ্যুত/জেল/মৃত্যু দন্ড চাই।
ব্রেকিংঃ ৯ম পে স্কেল কবে হতে পারে দেখুন এখানে ক্লিক করে।
পে স্কেল ২০১৫
২০১৫ সালে যে পে স্কেল গঠন করা হয়েছিল তা অষ্টম জাতীয় পে স্কেল। অষ্টম জাতীয় পে স্কেলে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ভাতা প্রায় দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য এর যে পরিস্থিতি তাতে নতুন করে আবার বেতন বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। অর্থাৎ নবম পে স্কেল ঘোষণা করা অনেক জরুরী হয়ে পড়েছে।
কিন্তু ২০২৩ সাল অতিবাহিত হতে চলেছে, অষ্টম পে স্কেল এর প্রায় আট বছর পার হওয়ার পরেও নতুন করে পে স্কেল গঠন করা হয়নি। তবে আশা করা যায় যে অতি শীঘ্রই নবম জাতীয় পে স্কেল ঘোষণা করা হবে এবং সকল সরকারি চাকরিজীবীদের কথা বিবেচনা করা হবে।
সর্বশেষ কথা
আমরাও চাই অতি দ্রুত নবম পে স্কেল ২০১৩ ঘোষণা করা হোক এবং সকল সরকারি চাকরিজীবীদের কে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হোক আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে পে স্কেল ২০২৩ এর সর্বশেষ খবর এবং হওয়া চাই তা নিয়ে জানানোর চেষ্টা করেছি। এই তথ্যগুলো আমি আপনাদের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করেছি। সুতরাং ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ
আরও দেখুনঃ
নতুন পে স্কেল কবে হবে ২০২৩ – নবম জাতীয় পে স্কেল
মহার্ঘ ভাতা কি? মহার্ঘ ভাতা সর্বশেষ খবর আজ ২০২৩
আমি সুজন। আমি বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা তে বসবাস করি। বর্তমানে আমি ঢাকা পলিটেকনিকে পড়ালেখা করছি। আমার পড়া লেখার পাশাপাশি আমি অনলাইনে লেখা লেখি করতে পছন্দ করি। বিশেষ করে টেকনোলোজি বিষয়ে লেখা লেখি করতে আমার ভাল লাগে। তাই আপনাদের জন্য আমি এই ওয়েবসাইট টি তৈরি করেছি। এখানে আপনি বাংলাদেশের অনালাইন সম্পর্কিত প্রায় সকল ধরনের তথ্য খুজে পাবেন। ধন্যবাদ।
সুন্দর এবং যুগোপোযোগী প্রস্তাব।
সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সরকারি চাকরিতে এতো বেতন দিয়ে দেশের সঙ্গে বেইমানি হচ্ছে। সব চাকুরিদের ডিলিট করে দেও। হুজুরদের কে চাকুরী দেও।দেশ অনেক সুন্দর হবে। দেশ বাচবে।দেশকে গলা চাপা দিয়ে মারিও না।
জাতীয় বেতন স্কেল অবশ্যই সহসা প্রদান করা প্রয়োজন। মুদ্রাস্ফীতির কারণে সরকারি আধাসরকারী কর্মকর্তা – কর্মচারীগন তাদের বর্তমানে প্রাপ্ত বেতন দিয়ে সংসার চালাতে পারছেননা।
সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা- কর্মচারীগনও তাদের প্রাপ্ত সামান্য পেনসনের টাকা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। চাকুরীরতদের সাথে সামন্জস্য রেখে পেনশনভোগীদের ভাতাও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকারকে আমাদের নিকটবর্তী ভারতীয় পেনশন নীতিমালা অনুসরণ করার আবেদন জানাচ্ছি। আশাকরি সরকার এ ব্যাপারে যথার্থ সহানুভূতিশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
সরকার মহোদয় টেকা পাবেনে
কোথায়