ছয় দফা দিবস কবে

বাঙালি হিসেবে আমরা সকলেই ছয় দফা দিবস সম্পর্কে  জেনে থাকি। প্রতিবছর বছর ছয় দফা দিবস পালন করা হয় জুন মাসের ৭ তারিখে। এই ছয় দফা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বহু ঘটনা ইতিহাস হয়ে আছে আমাদের মাঝে। যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। ছয় দফার এই  দাবিগুলির উদ্দশ্য ছিল বাঙালি জাতির উদ্দশ্যে সায়ত্বশাসন আদায় করা। যা পরবর্তিকালে স্বাধীনতা যুদ্ধের বীজ বপন করেছিল।

আর এই ছয় দফা আমাদের বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। ৬ দফা উত্থাপন করা হয় মোট ৩ বার। আর এই উত্থাপনকারী ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যারা জানতে চেয়েছেন ছয় দফা দিবস কবে  তারা এই পোস্ট সম্পূর্ণ পড়ে নিন। এই পোস্ট সম্পূর্ণ পড়ে নিন এবং ছয় দফা দিবস কবে তা বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস কবে

১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬ দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণ-আন্দোলনের করা হয়। আর এই আন্দোলন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ঢাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘটিত হয়। এই ছয় দফা আন্দোলনে পুলিশের হাতে  শফিক, শামসুল হক, মনু মিয়া সহ মোট ১১ জন নিহত হন। এই ছয় দফার বাঙালি জাতির উদ্দশ্যে ছিল সায়ত্বশাসন আদায় করা। ১৯৬৬ সালে ৭ই জুন বাংলাদেশের শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা দিবস সবার উদ্দেশ্যে  জনসাধারণের নিকট পেশ করেন।

এই ৬ দফার মধ্য দিয়ে রচিত হয় স্বাধীনতার আগাম রুপরেখা। বর্তমানে অনেকেই এই ছয় দফা জীবন সম্পর্কে জানেন না।  আবার অনেকে এই ছয় দফা দিবসকে  অনেক বেশি  গুরুত্ব দিয়ে থাকে।  ইতিমধ্যে ছয় দফা দিবসের তারিখ উপস্থাপন করা হয়েছে। যে ছয় দফা দিবস নিয়ে বাঙালির আন্দোলন ছিল, আত্মত্যাগ ছিল  একটু নিচে প্রবেশ করে সেই ৬ দফা দাবি গুলো দেখে নিন।  

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজকে

মুক্তির সনদ হিসেবে ছয় দফা দাবিকে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের সামনে উপস্থাপন করেছিলেন। এই ছয় দফা কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ঘটনা পরিলক্ষিত আছে। যেমন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১১ দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি। আসছে আগামী ৭ই জুন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। প্রত্যেক বাঙালি এই দিনকে অনেক বেশি স্মরণ করে থাকেন।

সর্বপ্রথম ছয় দফা দাবি ৫ এবং ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে লাহোরে এক সম্মেলনে উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আবার দ্বিতীয়বার এই ছয় দফা দাবি ১৩ ফেব্রুয়ারি অনানুষ্ঠানিকভাবে জনগণের নিকট পেশ করা হয়। তৃতীয়বার ২৩ মার্চ ১৯৬৬ সালে লাহোরের এক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে আবার ৭ই  জুন এই ছয় দফা দাবি জনগণের নিকট উপস্থাপন করা হয়। এবং এই ৭ই জুন ৬ দফা আন্দোলনে অনেকে নিহত হন। নিম্নে সেই ছয় দফার দাবিগুলো দেখে নিন।

ছয় দফা দাবি গুলো কি কি

জনসাধারণের নিকট ধাপে ধাপে ছয় দফা দাবি গুলো উপস্থাপন করা হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬ দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়। ৬ দফাভিত্তিক ১১ দফা আন্দোলনের পথপরিক্রমায় শুরু হয় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আমলিক উন্নত প্রার্থীদের একচেটিয়া রায় প্রদান করে। বঙ্গবন্ধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন শুরু করেন। নিচে ছয় দফা দাবি গুলো উল্লেখ করা হলো

১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবি গুলো ছিল

ছয় দফা দাবি গুলো কি কি ছিল যারা জানেন না। তারা নিচের দেওয়া তালিকা থেকে ছয় দফা দাবি গুলো দেখে নিন।

  • ১ম দফাঃ শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি।
  • ২য় দফাঃ কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা।
  • ৩য় দফাঃ মুদ্রা ও অর্থ বিষয়ক ক্ষমতা।
  • ৪র্থ দফাঃ কর বা রাজস্ব বিষয়ক ক্ষমতা।
  • ৫ম দফাঃ বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা।
  • ৬ষ্ঠ দফাঃ আঞ্চলিক মিলিশিয়া বাহিনী গঠনের ক্ষমতা।

শেষ কথা

বাংলাদেশের সকল জায়গায় সাথে দফা দাবি গুলোর  স্মরণ করে পুরো বাংলাদেশ ব্যাপি এই দিনটিকে পালন করা হবে। ছয় দফা দাবিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা হয়। প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে থাকে সকল বাঙালি। প্রত্যেক বাঙালির ৬ দফা দাবি কে যথাযথ সন্মান করে পালন করা উচিত। অতঃপর  যারা ছয় দফা দিবস কবে জানতে এসেছিলেন  তাদের জন্য ৬ দফা দাবি ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি। ছয় দফা দাবি অন্যদের জানানোর উদ্দেশ্যে এই পোস্ট বেশি বেশি শেয়ার করুন। ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *