প্রতিবছর ১৭ ই মার্চ কে অনেক জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। কারণ এই দিনটি হচ্ছে বাংলার স্বাধীনতার অন্যতম মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। এই দিনটিকে বাংলাদেশের জাতীয় ছুটি হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। আজকে শেখ মুজিবুর রহমানের 103 তম জন্মদিন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বা বাংলাদেশের আরো বিভিন্ন স্থানে জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এ সকল আলোচনা সভায় অনেকেই ১৭ই মার্চের বা শিশু দিবসের ভাষণ প্রদান করে থাকে। কিন্তু অনেকেই ভাষণটি কিভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে দিতে হবে তা বুঝে উঠতে পারে না। তাই আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে ১৭ ই মার্চের ভাষণের লিখিত একটি নমুনা শেয়ার করব।
আশা করি আজকে যারা ১৭ই মার্চ বা জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে ভাষণ প্রদান করবেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভাষণ প্রদান করার আগে অবশ্যই আপনাকে অনেক সুন্দর ভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে এবং বারবার আসনটি প্র্যাকটিস করতে হবে। তাহলে চলুন সাথী মার্চের ভাষণ নিয়ে আজকের পোস্ট শুরু করা যাক।
১৭ই মার্চের ভাষণ লিখিত রচনা ২০২৪
বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে প্রতিবছর 17 মার্চ এ জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। এই দিনটি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ পালন করে থাকে। জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন আলোচনা সভায় 17 মার্চ নিয়ে ভাষণ প্রদান করে থাকে অনেকেই। অনেকেই আবার ইন্টারনেটে শিশু দিবসের ভাষণ এর নমুনা খুঁজে বেড়ায়। তাই এখন আমি আপনাদের সাথে ১৭ ই মার্চের ভাষণ লিখিত রচনা শেয়ার করতে চলেছি।
১৭ ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস বক্তব্য
যেকোনো আলোচনা সভায় ভাষণ প্রদান করার ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে। এ সকল নিয়ম ব্যতীত আপনি একটি সুন্দর ভাষণ প্রদান করতে পারবেন না। এখন আমি আপনার সাথে এরকম চারটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম শেয়ার করব। যা অনুসরণ করলে আপনি অনেক সুন্দর একটি 17 মার্চের ভাষণ প্রদান করতে পারবেন।
- সম্ভাষণ: উপস্থিত অথিতি ও শ্রোতাদের যথাযথভাবে সম্বোধন করে ভাষন শুরু করা। সাধারনত মাননীয় সভাপতি, শ্রদ্ধেয় বা শ্রদ্ধাভাজন প্রধান অতিথি বা সম্মানিত সভাপতি, ভদ্রমহোদয় ও ভদ্রমহিলাগণ ইত্যাদি সম্বোধন করা যেতে পারে।
- ভূমিকা: ভাষনের মূল বিষয়নিয়ে শ্রোতাদের সংক্ষিপ্ত একটি ধারণা দেয়া। এটা যেন খুব বড় না হয়। অনেক ক্ষেত্রে এই অংশে আয়োজনকারীদের ধন্যবাদও জানানো যেতে পারে।
- মূল বক্তব্য: ভাষনের মূল বক্তব্যগুলো এখানে বলা হবে। বক্তব্যগুলো যেন পয়েন্ট আকারে হয়। কারণ, অতিরিক্ত কথা বার্তা শ্রোতাদের বিরক্ত করে। কম কথা কিন্তু গুরত্বপূর্ণ কথা তুলে ধরলে, শ্রোতাদের সহজে মনোযোগ আকর্ষণ করা সম্ভব। মুদ্রাদোষ থাকলে, যথা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
- সমাপ্তি: বক্তব্যের সমাপ্তি করা। এই সমাপ্তিতে থাকতে পারে আশাবাদ, উপদেশ কিংবা অনুরোধমূলক কথা।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিন উদযাপন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আজকের সভার সম্মানিত প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, শিক্ষক- শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী ও উপস্থিত সম্মানিত সুধী, আসসালামু আলাইকুম।
এভাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিদের কে সম্ভাষণ জানার মাধ্যমে আপনার ভাষণ বা বক্তব্য শুরু করতে পারেন। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে নিয়ে বিভিন্ন কথা বলতে পারেন। কিন্তু অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন বঙ্গবন্ধু নিয়ে যে সকল বাক্য বলে আপনি বলবেন তা যেন সহজ ও সাবলীল ভাষায় হয়ে থাকে। কখনোই অবান্তর কিছু আপনার ভাষণের মধ্যে টেনে আনবেন না।
১৭ই মার্চ রচনা
জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা শহরগুলোর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশু দিবস রচনা প্রতিযোগিতা বা ১৭ই মার্চ রচনার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এ সকল প্রতিযোগিতায় যে সকল শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে তারা ইন্টারনেটে 17 মার্চ রচনার নমুনা খুঁজে বেড়ায়। আপনিও যদি এরকম একটি জাতীয় শিশু দিবস এর রচনার নমুনা পেতে ইচ্ছে করে থাকেন তাহলে এখান থেকে তা সংগ্রহ করতে পারবেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 17 ই মার্চ ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। আমরা সকলেই জানি যে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক। তাই তার জন্মদিন উপলক্ষে তাকে সম্মান স্বরূপ এই দিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর 1997 সালের 17 মার্চ থেকে এই দিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই অনেক জাকজমকপূর্ণভাবে এবং অনেক কর্মসূচির মাধ্যমে এই দিনটি পালন করা হয়। এছাড়াও 17 মার্চকে বাংলাদেশের সাধারণ ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধু রচনা
১৭ ই মার্চ অর্থাৎ শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে শিশু দিবস রচনা লিখতে বলা হয়ে থাকে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এ সকল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকেন। প্রতিযোগিতার মূল আলোচ্য বিষয় থাকে জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধু রচনা নিয়ে। সুতরাং অনেকে ইন্টারনেটে শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে রচনা করে থাকে। তাই আজকের এই পোস্টে আমি ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে জাতীয় শিশু দিবস রচনা শেয়ার করেছি।
শেষ কথা
১৭ ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস এর ভাষন সম্পর্কে লিখিত আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এখানে আমি আপনাদের সাথে ১৭ ই মার্চের ভাষণের একটি নমুনা শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই নমুনাটি ভালো করে অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় অনেক সুন্দর একটি ভাষণ প্রদান করতে পারবেন। আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরও দেখুনঃ
১৭ই মার্চ কি দিবস? । জাতীয় শিশু দিবস কবে ২০২৪?
১৭ই মার্চের কবিতা – ছোটদের শিশু দিবসের কবিতা ২০২৪
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস স্ট্যাটাস ২০২৪
আমি সুজন। আমি বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা তে বসবাস করি। বর্তমানে আমি ঢাকা পলিটেকনিকে পড়ালেখা করছি। আমার পড়া লেখার পাশাপাশি আমি অনলাইনে লেখা লেখি করতে পছন্দ করি। বিশেষ করে টেকনোলোজি বিষয়ে লেখা লেখি করতে আমার ভাল লাগে। তাই আপনাদের জন্য আমি এই ওয়েবসাইট টি তৈরি করেছি। এখানে আপনি বাংলাদেশের অনালাইন সম্পর্কিত প্রায় সকল ধরনের তথ্য খুজে পাবেন। ধন্যবাদ।