স্টার সিনেপ্লেক্স হলো বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল। এখানে একসাথে একাধিক সিনেমা হল থাকে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের সিনেমা প্রদর্শিত হয়। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্টার সিনেপ্লেক্স দর্শকদের একটি আরামদায়ক এবং উপভোগ্য সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা প্রদান করে। স্টার সিনেপ্লেক্সের আধুনিক প্রযুক্তি দর্শকদের একটি অসাধারণ সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা প্রদান করে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, স্টার সিনেপ্লেক্স হলো বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল, যেখানে দর্শকরা একটি আধুনিক এবং আরামদায়ক পরিবেশে সিনেমা উপভোগ করতে পারেন। স্টার সিনেপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটি বন্ধ না খোলা জেনে নেওয়া যাক।
স্টার সিনেপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটি
এটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৪ সালের ৯ অক্টোবর, বসুন্ধরা সিটিতে। ২০১৬ সালে কক্সবাজারে প্রথম থিয়েটার চালু করে। স্টার সিনেপ্লেক্সে ছয়টি সম্পূর্ণ ডিজিটাল সিনেমা পর্দা রয়েছে, যা ত্রিমাত্রিক প্রক্ষেপণ প্রযুক্তি, রূপালী পর্দা, ডলবি-ডিজিটাল সাউন্ড এবং স্টেডিয়ামের মতো বসার ব্যবস্থা সহ মোট ১৬০০ আসনের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে স্টার সিনেপ্লেক্স ঢাকার ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারের পাশে নির্মিত সীমান্ত সম্ভারে তাদের দ্বিতীয় সিনেপ্লেক্স চালু করে। একই বছরের অক্টোবরে মহাখালীর এসকেএস (সেনা কল্যাণ সংস্থা) টাওয়ারে তৃতীয় সিনেপ্লেক্স চালু করে। ২০২১ সালের আগস্টে মিরপুর-২-এ সনি সিনেমা হলের স্থলে তাদের চতুর্থ সিনেপ্লেক্স চালু হয়। ২০২২ সালের এপ্রিলে বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে তাদের পঞ্চম সিনেপ্লেক্স চালু করে।
সিনেপ্লেক্সে প্রিমিয়াম ও দৈনিক এই দুটি শ্রেণীর আসন রয়েছে। প্রতিদিন সকাল, ম্যাটিনী ১, ম্যাটিনী ২, সন্ধ্যা ১, এবং সন্ধ্যা ২ এই পাঁচ সময়ে ছবি প্রদর্শিত হয়। প্রতি সপ্তাহে চলচ্চিত্রের সময়সূচী পরিবর্তিত হয়। ২০২২ সালের ৩ আগস্ট, মিরপুর-২-এ স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রায় ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ “পরাণ” চলচ্চিত্র দেখতে যান। লুঙ্গি পরা থাকার কারণে হল কর্তৃপক্ষ তার কাছে টিকিট বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানায়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী এই ঘটনার ছবি, ভিডিও এবং বিবরণ “বাংলা চলচ্চিত্র” নামক ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করেন, যা ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে “পরাণ” চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পীরাও এই ঘটনার সমালোচনা করেন। স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ পরে এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে উল্লেখ করে।
স্টার সিনেপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটি বন্ধ না খোলা
বসুন্ধরা সিটিতে স্টার সিনেপ্লেক্স আর চালু নেই। ২০২০ সালের শেষের দিকে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি নবায়ন না হওয়ায় এই সিনেপ্লেক্সটি চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে স্টার সিনেপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটি বন্ধ। স্টার সিনেপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটি বন্ধ হওয়ার পেছনে মূল কারণ হিসেবে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি নবায়ন না হওয়াকেই দায়ী করা হয়। বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সাথে ভাড়া বা অন্যান্য শর্তাবলী নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় স্টার সিনেপ্লেক্সকে সেখান থেকে সরে যেতে হয়েছিল। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাবাসীদের প্রিয় এই সিনেপ্লেক্সটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ১৬ বছর চলার পর স্টার সিনেপ্লেক্স বসুন্ধারা সিটি থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়। এরপর আর চালু করা হয়নি। ভবিষ্যতে আর চালু হবে কি না তা এখনো অজানা।
স্টার সিনেপ্লেক্স বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীকে এক নতুন মাত্রায় উন্নীত করেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, মানসম্পন্ন পরিষেবা, এবং দর্শকদের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে এটি সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান তৈরি করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে শাখা বিস্তারের মাধ্যমে স্টার সিনেপ্লেক্স শুধু সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতাই নয়, বরং দেশের বিনোদন জগতে একটি অগ্রণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। এটি এখন শুধুমাত্র সিনেমা প্রদর্শনের একটি স্থান নয়, বরং বিনোদনের নতুন মানদণ্ড।
আরও দেখুনঃ
আজ কি বসুন্ধরা সিটি খোলা? না বন্ধ দেখুন
বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স মোবাইল দোকান এর ঠিকানা
আমি সুজন। আমি বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা তে বসবাস করি। বর্তমানে আমি ঢাকা পলিটেকনিকে পড়ালেখা করছি। আমার পড়া লেখার পাশাপাশি আমি অনলাইনে লেখা লেখি করতে পছন্দ করি। বিশেষ করে টেকনোলোজি বিষয়ে লেখা লেখি করতে আমার ভাল লাগে। তাই আপনাদের জন্য আমি এই ওয়েবসাইট টি তৈরি করেছি। এখানে আপনি বাংলাদেশের অনালাইন সম্পর্কিত প্রায় সকল ধরনের তথ্য খুজে পাবেন। ধন্যবাদ।