বিশ্ব পরিবেশ দিবস কবে 2024

প্রতি বছর আন্তর্জাতিক সময় হিসেবে জুন মাসের ৫ তারিখে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ‘পালন করা হয়।  সমগ্র বিশ্বে এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ‘ পালনের সুন্দর কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। যেগুলো প্রত্যেক ব্যক্তির জেনে রাখা উচিত। পাশাপাশি পরিবেশ দিবস উপলক্ষে কি কি কার্যাদি  সম্পন্ন করা উচিত তা সকলের জেনে রাখা আবশ্যক। এ বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মোদ্যোগ আর জনসচেতনতার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার লক্ষ্যে পালিত দিবস। আর বিশ্ব পরিবেশ দিবস কবে তা নিয়ে সকলের  অনলাইনে অনুসন্ধান করতে দেখা যায়। অতঃপর যারা এই দিবস কবে এবং এই দিনে আমাদের কি করা উচিত জানতে চান তাহলে এই পোস্ট সম্পূর্ণ পড়ে নিন।

প্রকৃতি আর পরিবেশ আজ বর্তমান যুগে খুব ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি। তাই  যত দিন যাচ্ছে পৃথিবী  ততদু ষণযুক্ত এবং বসবাসের  অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। এই সংকট ও ভয়াবহতা সমগ্র মানবজাতির উপর গ্রাস করতে চলেছে। বর্তমান সময়ের মানুষ কোনভাবেই পরিবেশ কে রক্ষা করতে পারছে না। তবে জাতিসংঘ এর পরিবেশ কে রক্ষা করতে বিশেষ কার্যকলাপ পালন করে থাকে। সর্বস্তরের মানব জাতির জন্য এ বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে ৫ জুন তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস কবে সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে নিন।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৪ 

বিশ্বের পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি সর্বপ্রথম সুইডেন সরকার ১৯৬৮ সালের ২০ মে জাতিসংঘের কাছে  অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদের কাছে একটি চিঠি পাঠায়। সেই চিঠিতে উল্লেখ ছিল বিশ্ব পরিবেশকে রক্ষা এবং এ বিশ্বের পরিবেশকে দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে। আর এই বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় ১৯৭৪ সালের ৫ জুন মাসে। 

তারপর থেকে আজ পর্যন্ত  প্রতিবছর পরপর এই  ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ‘ পালিত হয়ে আসছে। আসছে আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এদিন কে অপেক্ষা করে পুরো বিশ্বে নানা কার্যকলাপ সম্পূর্ণ করা হয়। আ প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে পরিবেশকে দূষণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। অর্থাৎ যারা জানতে চেয়েছিলেন যে বিশ্ব পরিবেশ দিবস কবে ইতিমধ্যে তারা হয়তো জানতে পেরেছেন।

পুরো বিশ্বের পাশাপাশি আমাদের বাংলাদেশে এই ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ‘ পালন হবে ৫  জুন তারিখে। যতদিন যাচ্ছে এ বিষয়ে ততটাই দূষণ হচ্ছে।  সাথে পরিবেশের  ভারসাম্য এবং সজীবতা নষ্ট হচ্ছে। দেশের গাছপালা নষ্ট হচ্ছে,  বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। আর এইসব দূষণ রক্ষা করতে  বিশ্ব পরিবেশ দিবস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অনেকেই জানেন না যে বিশ্বের পরিবেশ দিবস কবে পালন করা হয়।  আমরা ইতিমধ্যে এই তারিখটি উল্লেখ করেছি। তাই সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে নিবেন এবং এ পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে নিন। 

আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস কবে

আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস পালিত হয় জুন মাসের ৫ তারিখে। পরিবেশ দিবস বিশ্বের জন্য এবং বিশ্বের প্রতিটা মানুষের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৭ তম অধিবেশনে প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পারিবেশ দিবস” পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আর সে থেকে এর পুরো বিশ্বব্যাপী এই ৫ তারিখে আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস পালন করা হয়ে থাকে। অনেকে বাংলাদেশী এবং বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক বিশ্ব পরিবেশ দিবস  আলাদা তারিখ হিসেবে মনে করে থাকেন। বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই বিশ্ব পরিবেশ দিবস একইদিনে পালন করা হয়ে থাকে।

বিশ্বের সকল ব্যক্তিদের উচিত নিজ নিজ অবস্থানে থেকে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখা। বছরের প্রতিটা দিন প্রতিটা সময় আমাদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে এই পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে।

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমাদের করনীয়

এই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির বিভিন্ন কর্তব্য এবং দায়িত্ব রয়েছে।  শুধু এই দিবসের দিনে আমাদের সতর্ক এবং সচেতন হলে চলবে না।  বছরের প্রতিটা দিন আমাদেরকে অনেক সতর্কতার সাথে পার করতে হবে । সবাইকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে জানো আমাদের পরিবেশ কোনভাবে না হয়।  গাছপালার নিধন রোধ করতে হবে, পরিবেশ দূষণকারী কল কারখানার ধোয়া থেকে আমাদের বাঁচতে হবে। আর এ বিশ্ব পরিবেশ দূষণ সুরক্ষায় বিশেষ কিছু সচেতন বার্তা রয়েছে। যার ফলে পুরো পৃথিবীর সকল মানবজাতি বেচে যাবে। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমাদের যে কারণে এগুলো নিম্নে কিছু উল্লেখ করা হলো।  জীবনের প্রত্যেক ব্যক্তি পালন করা উচিত।

  • ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপলায়েন্সের ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা উচিত। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ শক্তি বাঁচানো সম্ভব। এছাড়া, পরিবেশবান্ধবের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সোলার পাওয়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।
  •  কাঠের উনুনের ব্যবহার যতোটা সম্ভব কমানো উচিত। কারণ কাঠের উনুন থেকে অত্যধিক পরিমাণে ধোঁয়া নির্গত হয়। যা বায়ুর সঙ্গে মিশে গিয়ে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
  • পরিবেশবান্ধব যানবাহনের ওপর জোর দিত হবে। গাড়ির নির্গত ধোঁয়া বায়ুর সঙ্গে মিশে দূষণ ঘটাতে পারে। তাই দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবহার রা জরুরি।
  •  ইকোসিস্টেমকে সুস্থ রাখতে হবে। গেøাবাল ওয়ার্মিং ও বায়ুদূষণের কারণে ইকোসিস্টেম প্রভাবিত হচ্ছে। প্রভাব পড়ছে গাছপালা, পশুপাখির ওপর। তাই ইকোসিস্টেম সুস্থ রাখার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
  • কীটনাশক ও কেমিক্যালের ব্যবহার কম করতে হবে। পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে।
  •  কার্বন ফুটপ্রিন্ট ও বায়ুদূষণ যাতে কম হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। কার্বন ফুটপ্রিন্ট বাড়ার কারণে বাড়তে থাকে বায়ুদূষণ। এছাড়া, এয়ার কন্ডিশনারের ব্যবহারও কম করা উচিত।
  • বর্জ্য পদার্থ রিসাইকেল করতে হবে। কাঁচ, প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়াম বা খবরের কাগজ ফেলে দেয়ার পরিবর্তে রিসাইকেল করা প্রয়োজন। এর ফলে আবর্জনা জমে দূষণ ছড়াবে না। এমনকি এই বর্জ্যগুলো পোড়ানোর ফলে নির্গত ধোঁয়া পরিবেশের ক্ষতি করতে পারবে না। তাই প্লাস্টিক বা কাঁচের বোতল, এমনকি খবরের কাগজ না ফেলে পুনর্ব্যবহার করা যেতে পারে।

শেষ কথা

একটি মাত্র পৃথিবী,মহাবিশ্বে কোটি কোটি ছায়াপথ,আমাদের ছায়াপথেও আছে কোটি কোটি গ্রহ,কিন্তু ‘পৃথিবী’ আছে শুধু একটি। আসুন সবাই মিলে এর যত্ন নিই। এভাবে পুরো পৃথিবীকে আমাদের সুরক্ষা করতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে। তা না হলে আমাদের পৃথিবীর জন্য বিরাট হুমকিস্বরূপ। তাই যারা বিশ্ব পরিবেশ দিবস কবে জানতে চেয়েছিলেন তারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। তাই এই পোষ্ট অন্যদের মাঝে শেয়ার করে দিন। ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *