গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে

একজন মেয়ে যখন গর্ভধারণ করে তখন তার শরীর পূর্বের স্বাভাবিক অবস্থা থেকে অনেকটাই দূরে চলে যায়। বলতে গেলে প্রায় অনেকটাই সব সময় অসুস্থ থাকে। গর্ভাবস্থায় গর্ভধারিণী মা এবং তার পুরো পরিবারসহ খুব চিন্তিত থাকে যে বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে। এবং এ বাচ্চা সুস্থ বা ভালো আছে কিনা তা নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ে। তবে আপনি এই পোস্ট থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর খুব সহজে পেয়ে যাবেন। তাই গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে জানতে এ পোস্ট সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন। এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যে কথাগুলো একজন গর্ভধারিনী মায়ের জন্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

বাচ্চার অবস্থান অনুযায়ী বাচ্চার সুস্থতা নির্ভর করে। এবং বাচ্চার যে  পজিশনে বা অবস্থানে থাকে সেই পজিশন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মায়ের জন্য। বর্তমানে এবং পূর্বের অনেক লোক বাঁচার অবস্থান নিয়ে ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা নির্ণয় করতো। তবে আপনাদের জানিয়ে দিচ্ছি এই ধারণা স্পষ্ট তাই ভ্রান্ত ধারণা। তবে কিছু লক্ষণ দেখে অনেকেই এসব ধারণা দিয়ে থাকেন।  যে ধারাগুলো অনেকে আগ্রহী।  সে ধারণাগুলো এবং লক্ষণগুলোও এই পোস্টে আপনাদের জন্য উপস্থাপন করছি। আজকের আলোচনার মূল বিষয় হচ্ছে গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে থাকে তা নিয়ে। বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে সঠিকভাবে জানতে আমাদের এই পোষ্ট সম্পুর্ন পড়ে নিন।

বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে

স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে তা নির্দিষ্ট অবস্থান করে বলা সম্ভব নয়। মায়ের গর্ভে যখন বুনো বড় হতে থাকে তখন  পেটের বাচ্চা স্বাভাবিকভাবেই এর অবস্থান পরিবর্তন হতে থাকে।  যখন ছোট থাকে তখন পেটে বাচ্চা অবস্থান থাকে এবং যখন আস্তে আস্তে বড় হয় সাথে সাথে বাচ্চার অবস্থান পরিবর্তন হয়ে থাকে। 

বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় যখন শেষ মাস হয় তখন বাচ্চা অনেক বড় হয়ে যায়। আর এই সময় অনেকেই জানতে চায় যে বাচ্চা পেটে কোন পাশে থাকে এবং সুস্থ আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করে থাকে। আর এই সময় বাচ্চার পজিশন বা কিভাবে আছে তা জানা  অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

কেননা  প্রসবের সময় বাচ্চা জরায়ুতে যথাযথ অবস্থানে থাকতে হবে। আর প্রত্যেকের উচিত গর্ভাবস্থার শেষ মাসে ভালো করে ডাক্তারি পরীক্ষা করা। এবং এ সময় ভালো মতো বাচ্চার দেখাশোনা করা। অর্থাৎ এ সময় যে পজিশনে থাকলে বাচ্চা ভালো থাকে। বা যে পজিশনে সব সময় থাকে তা হচ্ছে অ্যান্টেরিয়র পজিশন। অ্যান্টেরিয়র পজিশন হচ্ছে বাচ্চার মুখ থাকে পিঠের দিকে ঘুরানো  অর্থাৎ বাচ্চার পিট মায়ের পেটের দিকে।এবং মাথা থাকে নিচের দিকে। আর এই অবস্থানেই বাচ্চা গর্ভধারিনী মায়ের পেটে থাকে।

ছেলে বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে

অনেকেই জানতে চায় যে ছেলে বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে। আর এই কৌতূহল প্রায় প্রত্যেক পরিবারেই থাকে। যে ছেলে বাচ্চা কোন ভাবে থাকে এবং ছেলে বাচ্চা হলে পেটের কোন পজিশন থাকে বা কেমন দেখা যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনাদেরকে আগে জানিয়ে দিচ্ছি যে  পেটের পজিশন অনুযায়ী কখনোই নির্ধারণ করা যায় না যে ছেলে বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে। বাচ্চা পেটের যে কোন অবস্থানে থাকতে পারে।  সুস্থ অবস্থা বা অসুস্থ অবস্থায়  বাচ্চার অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে।

তবে পূর্বের অনেক লোকেদের ভ্রান্ত ধারণা ছিল এরকম যে ছেলে হলে সাধারণতবার দিকে ফিরে শুতে পছন্দ করে গর্ভধারি মায়েরা। আবার কিছু লক্ষণ রয়েছে গর্ভধারি মা যদি পূর্ব থেকে বেশি সুস্থ অনুভব করে তাহলে পেটে ছেলে বাচ্চা রয়েছে এরকম কিছু ধারণা। আবার অনেকেই মনে করে থাকেন মায়ের যদি খুব বেশি ঝাল খেতে ইচ্ছা করে তাহলে গর্ভের সন্তান হচ্ছে ছেলে সন্তান।

মেয়ে বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে

আবার অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে মেয়ে বাচ্চা হলে পেটের কোন পাশে থাকে। পূর্বের অনেক লোকেদের ভ্রান্ত ধারণা ছিল এরকম যে পেটে যদি মেয়ে বাচ্চা থাকে তাহলে গর্ভধারি মায়ের বেশি বেশি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করবে। হার্ট রেট যদি বেশি হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি,এরকম ধারণা পোষণ করতো। আবার গর্ভধারি মায়ের ডান দিকে ফিরে শুতে নাকি বেশি ভালো লাগে মেয়ের বেলায়। এরকম আরো অনেক ভ্রান্ত ধারণা ছিল পূর্বের লোকেদের। গত এক যুগ আগেও পেটের বাচ্চা কেমন অবস্থান এবং কি বাচ্চা হবে জানা সম্ভবত না। আপনি কিন্তু পূর্বের লোকেরা উপরের সব ধারণা থেকে আন্দাজ করতে পারতেন যে পেটে মেয়ে বাচ্চা হবে না ছেলে বাচ্চা হবে।

গর্ভাবস্থায় পেটের বাচ্চার অবস্থান কেমন হতে পারে

পেটের বাচ্চা সাধারণত অ্যান্টেরিয়র পজিশন বা অ্যান্টেরিয়র  অবস্থানে থাকে। আর যদি পেটের বাচ্চা এই অবস্থানে থাকে তাহলে মায়ের প্রসবের সময় সহজ হবে। এবং এ পজিশনে থাকলে বাচ্চাকে সুস্থ বলে ধরা হয়।  অর্থাৎ গর্ভধারি মায়ের পেটে বাচ্চার মাথা নিচের দিকে থাকে এবং বাচ্চার পিট মায়ের পেটের দিকে।এবং বাচ্চার যে থুতনি তার বুকের সাথে লেগে থাকে। 

ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ

ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ নিয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করতে চাচ্ছি। আর এ বিষয়গুলো অনেকের মনে খুব কৌতূহল হয়ে থাকে। অনেকেই এই ব্যাপারে খুবই আগ্রহী হয়ে থাকে। তবে অনেকে অনলাইনে এসে ছেলে সন্তান হওয়ার যে লক্ষণ সমূহ তা নিয়ে সার্চ করে থাকে। তাই নিম্নে ছেলে সন্তান হওয়ার যে লক্ষণসমূহ রয়েছে তা উল্লেখ করে যাচ্ছি।

  • গর্ভবতী নারীর যদি সামনের দিকে থাকে তাহলে মনে করবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে।
  • গর্ভবতী নারীর তলপেট যদি সামনের দিকে থাকে তাহলে মনে করবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে।
  • অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন আপনার ডাক দিকের স্তন সাঈদীকে তুলনায় বেশি বড় হয়ে থাকে প্রাকৃতিক ভাবে তাহলে আপনার ছেলে সন্তান হবে।
  • অন্তঃসত্ত্বা হওয়া কালীন যদি বামদিকে ফিরে ঘুমাতে ভালো লাগে তাহলে আপনার পুত্র সন্তান হবে।
  • গর্ভবতী অবস্থায় আপনার চুল যদি হয় তাহলে আপনার ছেলে সন্তান হবে।
  • ছেলে সন্তান হলে গর্ভবতী নারীর চুল লম্বা হয়।

মেয়ে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ

ছেলে সন্তান হওয়ার পাশাপাশি মেয়ে সন্তান নিয়ে অনেকে আগ্রহ থাকে। নিচের দেওয়া লক্ষণগুলো থেকে দেখে নিন, যে লক্ষণ গুলো দেখতে পেলে মনে করবেন মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লক্ষণগুলো নিমরূপ

  • মিষ্টি খাওয়া প্রবণতা বেশি দেখা দেয়।
  • সকালবেলা একটু বেশি অসুস্থ হলে।
  • পেটের বাচ্চা দ্রুত হৃৎস্পন্দন হার বেশি হলে।
  • গর্ভাবস্থার নারীর পেট উঁচু দেখা দিলে।
  •  তোকে যদি ব্রণ এবং  তৈলাক্ততা দেখা দেয়।
  • গর্ভে মেয়ে সন্তান হলে গর্ভবতী নারী চুল উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বা উঠে যায়।
  • গর্ভবতী অবস্থায় চুল যদি দুর্বল উজ্জ্বল শূন্যতা হয় তাহলে আপনার মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শেষ কথা

গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে তা  নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি  উপরের যেসব ধারণাগুলো  উল্লেখ করা হয়েছে তা পূর্বের মানুষদের  শুধুমাত্র ভ্রান্ত ধারণা ছিল। তবেই বৈজ্ঞানিক এবং আধুনিকতার যুগে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা মাধ্যমে জানার সম্ভাব হয় যে পেটে ছেলে বাচ্চা নাকি মেয়ে বাচ্চা কি অবস্থান আছে তা জানা সম্ভব হয়। আর এই পোস্ট থেকে অন্য ব্যক্তিদের সঠিক ধারণা দিতে বেশি বেশি শেয়ার করুন। ধন্যবাদ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *