রংপুর জেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানা, যা শুধু একটি বিনোদন কেন্দ্র নয়, বরং একটি প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণস্থল। এই চিড়িয়াখানাটি ক্লান্ত, বিষন্ন, ও বির্পযস্ত মনে প্রশান্তি ও সতেজতার খোঁজে আসা হাজার হাজার সৌন্দর্যপিপাসু ও ভ্রমণ বিলাসীদের আকর্ষণ করে। রংপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই উদ্যানটি ২৬ প্রজাতির জীবজন্তু ও পাখি দিয়ে সমৃদ্ধ। এখানে সিংহ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিতা বাঘ, জলহস্তি, হায়েনা, ভালুক, বানর, বেবুন, হরিণ, ময়না, টিয়া, ঈগল, শকুন, সারস, বক, ঘড়িয়াল, ও অজগর সাপের মতো বিভিন্ন প্রাণীর দেখা মেলে। নিচে রংপুর চিড়িয়াখানা প্রবেশ মূল্য কত টাকা ও কিভাবে টিকিট কাটবেন বিস্তারিত দেওয়া আছে।
রংপুর চিড়িয়াখানা প্রবেশ মূল্য
এই চিড়িয়াখানাটি মোট ২২.১৭ একর জমির উপর অবস্থিত এবং এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৮৮ সালের ১৪ আগস্ট, যা ১৯৯৯ সালের জুন মাসে সম্পন্ন হয়। তবে জনসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ১৯৯১ সালের ১৪ জুন। উদ্যানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রয়েছেন একজন ডেপুটি কিউরেটর এবং একজন জুনিয়র অফিসারসহ ১৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী, যারা এর সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। চিড়িয়াখানায় প্রবেশের জন্য নির্ধারিত টিকিট মূল্য রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটের দাম ২০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ১০ টাকা। মিরপুর চিড়িয়াখানার থেকে এখানে টিকিটের দাম অনেক কম। তবে মিরপুরের চিড়িয়াখানাটি এর থিক আরও উন্নত।
রংপুর চিড়িয়াখানায় টিকিট কাটতে কত টাকা লাগে?
চিড়িয়াখানায় প্রবেশের জন্য ছোট বড় সবাইকে টিকিট কাটতে হবে। বয়সের উপর ভিত্তি করে টিকিটের মূল্য আলাদা ভাবে নির্ধারন করা হয়েছে। বর্তমানে রংপুর চিড়িয়াখানায় টিকিট কাটতে ২০ টাকা লাগে। তবে ছোট বাচ্চাদের জন্য টিকিটের মূল্য নেওয়া হয়না। বাচ্চাদের বয়স ২ বছরের বেশি হলে তাদের জন্য ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হবে। সময়ের সাথে টিকিটের সাম পরিবর্তন হবে। বিশেষ অনুষ্ঠান বা ছুটির দিনে প্রবেশমূল্য সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ছাড় অথবা দলগত টিকেটের ব্যবস্থা থাকতে পারে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে প্রবেশ মূল্য পরিবর্তন করে থাকে, তাই সর্বশেষ তথ্যের জন্য চিড়িয়াখানায় যাওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে বা অনলাইনে খোঁজ নেওয়া ভালো।
রংপুর চিড়িয়াখানা
রংপুর চিড়িয়াখানা, যা রংপুর বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানা নামে পরিচিত, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত একটি অন্যতম প্রধান বিনোদন কেন্দ্র। এটি রংপুর জেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এবং শহরের মানুষদের বিনোদনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বিভিন্ন প্রজাতির জীবজন্তুর সংমিশ্রণ এই চিড়িয়াখানাকে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
এই চিড়িয়াখানার নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৮৮ সালের ১৪ আগস্টে। প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ ১ হাজার টাকা ব্যয়ে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়, যা ১৯৯৯ সালের জুন মাসে শেষ হয়। তবে, চিড়িয়াখানাটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ১৯৯১ সালের ১৪ জুন। চিড়িয়াখানার দেখভাল ও পরিচালনার জন্য এখানে একজন ডেপুটি কিউরেটর এবং একজন জুনিয়র অফিসারসহ মোট ১৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন।
রংপুর চিড়িয়াখানায় ২৬ প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তু ও পাখি রয়েছে, যা দর্শনার্থীদের জন্য প্রধান আকর্ষণ। চিড়িয়াখানায় পাওয়া যায় এমন কিছু উল্লেখযোগ্য প্রাণীর মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, চিতা বাঘ, জলহস্তি, হায়েনা, ভালুক, বানর, বেবুন, হরিণ, ময়না, টিয়া, ঈগল, শকুন, সারস, বক, ঘড়িয়াল এবং অজগর সাপ উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও, চিড়িয়াখানার একটি নয়নাভিরাম লেক এবং শিশুদের জন্য একটি পার্ক রয়েছে, যা পরিবার ও শিশুদের জন্য বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। উদ্যানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এখানে বিভিন্ন বনজ, ফলজ, এবং ঔষধি গাছের মনোমুগ্ধকর সারি রয়েছে, যা প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
রংপুর চিড়িয়াখানার এই বৈচিত্র্যময় জীবজন্তু এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কেবলমাত্র স্থানীয় মানুষদেরই নয়, বরং দেশের অন্যান্য অঞ্চলের দর্শনার্থীদেরও আকর্ষণ করে, যা রংপুর চিড়িয়াখানাকে একটি প্রিয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
আরও দেখুনঃ
মিরপুর চিড়িয়াখানা প্রবেশ মূল্য কত টাকা
ঢাকা চিড়িয়াখানা সাপ্তাহিক বন্ধ কবে ২০২৪
আমি সুজন। আমি বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা তে বসবাস করি। বর্তমানে আমি ঢাকা পলিটেকনিকে পড়ালেখা করছি। আমার পড়া লেখার পাশাপাশি আমি অনলাইনে লেখা লেখি করতে পছন্দ করি। বিশেষ করে টেকনোলোজি বিষয়ে লেখা লেখি করতে আমার ভাল লাগে। তাই আপনাদের জন্য আমি এই ওয়েবসাইট টি তৈরি করেছি। এখানে আপনি বাংলাদেশের অনালাইন সম্পর্কিত প্রায় সকল ধরনের তথ্য খুজে পাবেন। ধন্যবাদ।