আলোচনায় নতুন পে স্কেল ২০২৩ – পে-স্কেল নিউজ সর্বশেষ

সামনে পবিত্র রমজান মাস। দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে দেশের বেশিরভাগ মানুষ তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। সকলে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম দিনকে দিন বেড়ে চলেছে। দীর্ঘদিন যাবত সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো হচ্ছে না। ফলে তারা অনেকটাই করুন অবস্থার মধ্যে জীবন যাপন করছে। সর্বশেষ 2015 সালে অষ্টম জাতীয় পে স্কেল গঠিত হয়েছিল। এরপর থেকেই প্রায় আট বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামো ঠিক আগের মতই রয়ে গেছে।

২০১৬ সাল থেকেই সরকারি চাকরিজীবীগণ বেতন কাঠামোতে যেসব বৈষম্য ছিল সেগুলো নিদর্শন এর দাবি জানিয়েছিল। সর্বশেষ 2019 সালে এই সমস্যা সমাধানের একটি কমিটি ও গঠন করা হয়েছিল। তবুও দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও নতুন করে পেয়ে স্কেল ঘোষণার কোন খবর প্রকাশ করা হয়নি।

সকল সরকারি চাকরিজীবী গান প্রায় প্রতিনিয়তই স্কেল কবে গঠিত হবে তা জানতে চেয়ে থাকে। বর্তমান পে স্কেল গঠনের সর্বশেষ খবর কি তাও তারা জানতে চায়। সুতরাং আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে প্রস্তাবিত নতুন পে স্কেল নিয়ে কিছু তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা করব। এই তথ্যগুলো বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমি আপনাদের জন্য সংগ্রহ করেছি।

আলোচনায় নতুন পে-স্কেল

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০১৫ সালে সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন পে স্কেল গঠন করেছিল। এটি ছিল অষ্টম জাতীয় পে স্কেল। এরপর থেকে প্রায় আট বছর অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে, কিন্তু নতুন পে স্কেল গঠনের কোন খবরা খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অষ্টম পেইজ খেলে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ও মাথায় বেশ কিছু বৈষম্য দেখা যায়। যার কারণে 2016 সাল থেকেই তারা এইভাবে সময় দূর করার দাবি জানায়।

কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা কোন সুসংবাদ পায়নি। এদিকে প্রতিনিয়তই অন্যের দাম বেড়ে চলেছে। যার কারণে বর্তমান চাকরীজীব গান যে পরিমাণ বেতন ভাতা পেয়ে থাকে তা দিয়ে তাদের সংসার চালানো অনেক কষ্ট হচ্ছে। তাই অতি দ্রুত নতুন পে স্কেল গঠন করার আহ্বান জানিয়েছে সকল সরকারি চাকরিজীবীগণ।

প্রস্তাবিত নতুন পে স্কেল ২০২২

বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। কারণ প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন সেই ঠিক আট বছর আগের মতই রয়েছে। এজন্য অতি দ্রুতই তারা নতুন পে স্কেল গঠন করার দাবি জানিয়েছে। কিছু কিছু সরকারি চাকরিজীবীগণ সোশ্যাল মিডিয়াতে নতুন পে স্কেল নিয়ে লেখালেখিও করতেছে।

ফেসবুক সহ অন্যান্য সকল মিডিয়াগুলোতে এই প্রস্তাবিত নতুন পে স্কেল নিয়ে বেশ নিউজ প্রকাশিত হয়েছে। নতুন পে স্কেল গঠন করা নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের বেশ কিছু দাবী দেওয়া রয়েছে। প্রস্তাবিত নতুন পে স্কেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই আপনার পড়া চালিয়ে যান।

পে-স্কেল নিউজ

এর আগে সরকারি চাকরিজীবীগণ তাদের নতুন পে স্কেল গঠনের ব্যাপারে কঠোর দাবি ও আন্দোলন চালিয়েছিল। তাদের দাবি দেওয়ার মধ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পয়েন্ট ছিল। আপনি যদি পে স্কেল নিয়ে এ সকল নিউজ পেতে চান তাহলে এখান থেকে তা জেনে নিতে পারবেন। সরকারি চাকরিজীবীদের পে স্কেল নিয়ে দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ

  • তাদেরকে প্রতি বছর ইনক্রিমেন্ট প্রদান করতে হবে এবং সেটি অবশ্যই ১০% হতে হবে।
  • যদি সরকার করতে কোন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি না দিতে পারে সে ক্ষেত্রে ৫ বছর পরপর উচ্চতর গ্রেডের বেতন দাবি করেছে তারা।
  • মূল বেতনের সাথে বাড়ি ভাড়া বাব দ বলবেতনের ৬০% শতাংশ দিতে হবে।
  • যাতায়াত ভাতা মাসে তিন হাজার টাকা মূল বেতনের সাথে প্রদান করতে হবে।
  • এছাড়াও পরিবারের জন্য শিক্ষা ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান করতে হবে।
  • বিদ্যুৎ বিল গ্যাস বিল সহ সকল কর্মচারীকে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদান করতে হবে।
  • নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়লে বেতন বৃদ্ধি করে তা সমন্বয় করতে হবে।

উপরে উল্লেখিত এ সকল দাবি সহ আরো বেশ কিছু পয়েন্ট সরকারি চাকরিজীবীগণ তাদের নতুন পে স্কেল গঠনের দাবিতে উল্লেখ করেছে।

পে কমিশনের সর্বশেষ খবর

এখন পর্যন্ত নতুন পে স্কেল নিয়ে পে কমিশন সর্বশেষ কোন আপডেট তথ্য প্রদান করেনি। বেশ কিছুদিন আগে ৯ম পে- স্কেল সম্পর্কে এক কর্মকর্তা বলেন অর্থ বিভাগ এর বাস্তবায়ন শাখা এখন ৯ম বেতন স্কেল বাস্তবায়ন এর জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করছেে। ৯ম পে -স্কেল সম্পর্কে তিনি আরো বলেন সরকারের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হলে চলতি অর্থবছরের শেষের দিকে, জাতীয় নির্বাচন এর ঠিক আগে সরকার নতুন বেতন স্কেল ঘোষণা করতে পারে। তাই সকল সরকারি চাকরিজীবীদের কে আর কিছুদিন ধৈর্য ধরতে হবে।

এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন ২০২২- ২০২৩ অর্থবছরে আমলাদের বেতন এর জন্য ৭৬,৪১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।যা বর্তমানে অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ব্যায় থেকে ৬.৬৬৬ কোটি টাকা বেশি। এখাতে প্রস্তাবিত বাজেটের ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে ।২০২১- ২০২২ অর্থবছরে এটা ছিল বাজেটের ১১.৫৫ শতাংশ। প্রতিটি খাতে বাজেটর সরকারি কর্মচারীদের , প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য নাগরিক সনদের বিধানের আমলাদের গুনগত দিকগুলো আরো উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে।

সর্বশেষ কথা

আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে নবম জাতীয় পে স্কেল নিয়ে কিছু তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আশা করা যায় যে বাংলাদেশ সরকার অধিক দ্রুতই নতুন পে স্কেল ঘোষনার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। পে কমিশনের সর্বশেষ খবর নিয়ে লিখিত আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আরও দেখুনঃ

নতুন পে স্কেল কবে হবে ২০২৩ – নবম জাতীয় পে স্কেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *