আমরা সকলেই কমবেশি অনেকেই অনলাইন ব্যবসা জানি। অনলাইন ব্যবসা মূলত ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত তাই আমরা এ ব্যবসাকে অনলাইন ব্যবসা বলি। আবার অনেকেই অনলাইন ব্যবসায় কে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। অনেকেই মনে করে অনলাইন ব্যবসায় বলতে কিছু নেই। এটা কেবল মানুষকে ঠকানোর জন্য। মূলত তাদের এই কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। কেননা অনলাইন ব্যবসায় অ্যাক্টিভ। সারা বিশ্বের সব জায়গায় এ ব্যবসায় প্রচলিত। অনেকে আছে যারা এ ব্যবসা থেকে হাজার হাজার ,লক্ষ লক্ষ ,এমনকি কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে। তাই আমাদের মনে এ ব্যবসার নিয়ে কোনো রকমের সংশয় থাকা উচিত নয়।
অনলাইন ব্যবসায় নিয়ে কিছু টিপস সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করব। আশা করছি এই টিপসগুলো থেকে অনেকেই অনলাইন ব্যবসা করতে পারবে।
অনলাইন থেকে আয় করার ৫ টি টিপস
(1)রেফার করে ইনকাম:
অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করার সহজ একটি মাধ্যম হচ্ছে রেফার করে ইনকাম করা। অনেক রকম অ্যাপস আছে যেখানে আপনার রেফারে অন্য কেউ যদি কাজ করতে চায় তাহলে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা আপনার একাউন্টে জমা হবে।যে অর্থ আপনি ইচ্ছা করলে উইথড্র করে নিতে পারবেন। যেমন :-
রিং আইডির কথাই বলি। আমরা যখন প্রথমে রিং আইডি তে অন্যের রেফারেন্স লগইন করি তাহলে আমাদের অ্যাকাউন্টে 50 টাকা জমা হয় । পরবর্তীতে যদি কেউ আমাদের রেফারেন্স এ লগইন করে তাহলে আমাদের একাউন্টে 20 টাকা জমা হয়। এরকম আরো অনেক অ্যাপস আছে যেগুলোতে রেফার করে ইনকাম করা যায়।
(2)ভার্চুয়াল সহকারি:
বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ। বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ ইন্টারনেটে কাজ করছে স্বাচ্ছন্দে বোধ করে। এখন মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে লোক নিয়োগ করে। এবং যারা কাজে আগ্রহী দেখায় তারা বিভিন্ন রকম ভাবে এ প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে খোঁজখবর নেই । অতঃপর কাজটি করতে আগ্রহ দেখায়। বর্তমানে ইন্টারনেটে অনেক রকমের কাজে রয়েছে। যেমন :-লেখালেখি করে ইনকাম,বিভিন্ন রকমের ডিজাইন দিয়ে ইনকাম,ড্রেস সেল করে ইনকাম ইত্যাদি এরকমের অনেক কাজ আছে যা আমরা ইন্টারনেটে পেয়ে থাকি।
(3)অনলাইন সিকিউরিটির ক্রয়-বিক্রয়:
ইন্টারনেটে শেয়ার, বিল ,ব্রণ্ড ,ইত্যাদির ক্রয়-বিক্রয়কে অনলাইন সিকিউরিটির ক্রয়-বিক্রয় বলেন। এক্ষেত্রে মধ্যস্থ ব্যবসায়ী দু’পক্ষের মধ্যে লেনদেনে অনলাইনে সহকারি হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে। মূলত এ প্রতিষ্ঠানটি অনেক সিকিউরিটি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এরূপ ব্যবসায়ী যে কেউ হঠাৎ করে এসে যোগ দিতে পারবে না। এ ব্যবসায় যোগ দিতে হলে অনেক রকমের নিয়ম শৃঙ্খলা আছে এবং অনেক রকমের সিকিউরিটি আছে যেগুলো মেনে এ কাজ করতে হবে।
(4) ই -মার্কেটিং করে ইনকাম:
এখন এখন পৃথিবীতে প্রায় সবারই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার আছে ।অথচ ইমেইল নেই এটা তো কখনোই হতে পারেনা ,এরকম মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল।
মার্কেটিং হল গ্রাহকদের চাহিদা যথাযথভাবে চিহ্নিত পূর্বক পণ্য ও সেবা সামগ্রী তাদের নিকট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করা যাতে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনের পাশাপাশি কাঙ্খিত মুনাফা অর্জন করতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতা কে পণ্য সম্পর্কে উৎসাহ সৃষ্টি , যাতে করে ক্রেতা পণ্যটি কিনতে আগ্রহ দেখায় ,এক্ষেত্রে স্থায়ী গ্রাহককে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়। তাই ইলেকট্রনিক উপায়এ গ্রাহকদের নিকট নিজস্ব পণ্য ও সেবা এবং প্রতিষ্ঠানটিকে আকর্ষণীয় ভাবে তুলে ধরার জন্য, তাদেরকেই স্থায়ী গ্রাহককে পরিণত করার জন্য, যাবতীয় উপায় ই মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে করা হয়।ওয়েব, ইমেইল ,ডাটাবেস ,ডিজিটাল টেলিফোন, টেলিভিশন, ইত্যাদি ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে marketing এর কার্য সম্পাদন ও সেবা প্রদান করায় e-marketing এর প্রধান লক্ষ্য।
নিজের ব্লগিং সাইট করে।
অনলাইনে অনেক ভাবে ইনকাম করা যায় তবে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্লগিং সাইট। তবে বর্তমানে ব্লগিং সাইট এর চেয়েও ইউটিউবএ বেশি ইনকাম করা যাচ্ছে। কেননা এখন মানুষ পড়াশোনা কিংবা ভিডিও এই দুইটা কাজেই বেশিরভাগ ইউটিউব থেকে সংগ্রহ করে। ব্লগিং থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে অনেক ধৈর্য ধারণ করতে হবে। কেননা এতে একটু কষ্ট বেশি করতে হয় কিন্তু প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায় ।তাই প্রথমের দিকে একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে ।এখানে ব্লগিং ফ্রি ও টাকা ইনভেস্ট করে ইনকাম করা যায়।