যশোর শহর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে যশোর ক্যান্টনমেন্টের শানতলা এলাকায় বিনোদনপ্রেমীদের জন্য নির্মিত হয়েছে বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক। ১৯৯৮ সালে লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফয়েজ আহমেদের তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠা এই পার্কটি পর্যটকদের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান হিসেবে পরিচিত। পার্কটির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় রাইড, শিশুদের জন্য একটি বিশেষ পার্ক, ছোট আকারের চিড়িয়াখানা, কৃত্রিম ঝর্ণা, নদীর সৌন্দর্য, এবং রবীনহুডের ঘর। এছাড়াও এখানে রয়েছে কনফারেন্স রুম এবং নানা ধরনের খাবারের আয়োজন। বাংলাদেশি ভ্রমনপ্রিয় সকল দর্শক এখানে বেড়াতে আসে। আপনি যদি প্রথম বারের মতো আসতে চান তাহলে এর লোকেশন ও পার্ক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন।
বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক
বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক, যশোর জেলার অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদনকেন্দ্র, যশোর শহরের নিকটেই শানতলা এলাকায় অবস্থিত। শহরের কোলাহল থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে যশোর ক্যান্টনমেন্টের আশেপাশে গড়ে ওঠা এই পার্কটি স্থানীয় এবং বহিরাগত পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৮ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়েজ আহমেদের উদ্যোগে পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা এর পর থেকে সারা বছরই দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জনের জন্য খোলা থাকে।
এই পার্কে রয়েছে শিশুদের এবং বয়স্কদের জন্য নানা ধরণের আকর্ষণীয় রাইড। এখানে একটি মিনি চিড়িয়াখানা রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী দেখা যায়, যা বিশেষ করে শিশুদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়। পার্কে শিশুদের জন্য একটি আলাদা খেলার জায়গাও রয়েছে, যেখানে তারা আনন্দময় সময় কাটাতে পারে।
পার্কটির অন্যতম আকর্ষণ হলো এর কৃত্রিম ঝর্ণা ও নদী। প্রকৃতির ছোঁয়া এবং নির্মল বাতাসের মধ্যে এই স্থানটি দর্শনার্থীদের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ এবং আনন্দদায়ক পরিবেশ তৈরি করে। এছাড়া, রবীনহুডের ঘর নামে পরিচিত একটি স্থাপনাও রয়েছে, যা দর্শনার্থীদের কল্পনার জগতে নিয়ে যায়।
বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্কে কি কি আছে?
বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্কটি যশোর জেলার অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মনোরঞ্জনের জন্য বিখ্যাত। এখানে বিভিন্ন ধরণের বিনোদনমূলক কার্যক্রম এবং সুবিধা রয়েছে যা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে। এখানে ছোট বড় সবার জন্যই অনেক বিনোদনের জিনিস আছে। এখানে একটি চিড়িয়াখানা ও শিশু পার্কও আছে। যা শিশুদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
রাইডস ও অ্যামিউজমেন্টঃ এখানে টিন ধরননের রাইড আছে।
মিনি চিড়িয়াখানা: পার্কের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো মিনি চিড়িয়াখানা, যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী রাখা হয়েছে। শিশুদের জন্য এটি বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। এখানে পাখি, হরিণ, খরগোশ সহ অন্যান্য প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্যও আনন্দদায়ক।
শিশু পার্কঃ এই শিশু পার্কে ঝুলা (সুইংস), স্লাইডার ও একটি টানেল আছে। যা শিশুদের মনের আনন্দে খেলার উপযোগী এসব সরঞ্জাম তাদের মনোরঞ্জন করতে সাহায্য করে।
কৃত্রিম নদী ও ঝর্ণাঃ পার্কের মধ্যে একটি ছোট কৃত্রিম নদী এবং ঝর্ণা রয়েছে, যা দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ঝর্ণার শীতল পানি এবং নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশ দর্শনার্থীদের মাঝে প্রশান্তি এনে দেয়। নদীর ধারে বসে বিশ্রাম নেওয়া এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান।
রবিনহুডের ঘর: রবিনহুডের ঘর নামে পরিচিত একটি কল্পনাপ্রসূত স্থাপনা রয়েছে, যা দর্শনার্থীদের রূপকথার জগতে নিয়ে যায়।
কনফারেন্স রুম: বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্কে রয়েছে একটি কনফারেন্স রুম, যেখানে বিভিন্ন ধরনের আনুষ্ঠানিক সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এবং পুনর্মিলনী আয়োজন করা যায়।
পিকনিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: পার্কে পিকনিকের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনা রয়েছে। বড় আকারের পিকনিক শেড এবং খোলা মাঠে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পিকনিকের জন্য এই স্থানটি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
খাবারের ব্যবস্থা: পার্কের অভ্যন্তরে বেশ কিছু খাবারের স্টল এবং ক্যান্টিন রয়েছে, যেখানে দর্শনার্থীরা স্থানীয় ও বহিরাগত খাবার উপভোগ করতে পারেন।
বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক কখন খোলা থাকে
প্রথমদিকে বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্কে প্রবেশ ছিল সকলের জন্য উন্মুক্ত, তবে পরে টিকিটের মাধ্যমে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়। সপ্তাহের সাত দিনই পার্কটি খোলা থাকে, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা এখানে আসতে পারেন। প্রবেশ মূল্য সাধারণত সকলের সাধ্যের মধ্যে থাকে, যা পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই সময়ের মধ্যেই এই পার্কটি ভিজিট করবেন।
বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক বাংলাদেশের যশোর জেলার যশোর ক্যান্টনমেন্টের শানতলা এলাকায় অবস্থিত। এটি যশোর শহর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যা সহজেই যেকোনো পরিবহন ব্যবস্থায় পৌঁছানো যায়। বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক স্থানীয়দের জন্য একটি সেরা অবকাশ যাপন কেন্দ্র। এটি যেমন শিশুদের জন্য আনন্দের, তেমনি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও চিত্তবিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু। পার্কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, রাইড, এবং আয়োজনের সুবিধা একে একটি সম্পূর্ণ পরিবারবান্ধব স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
আরও দেখুনঃ
তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থান
আমি সুজন। আমি বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা তে বসবাস করি। বর্তমানে আমি ঢাকা পলিটেকনিকে পড়ালেখা করছি। আমার পড়া লেখার পাশাপাশি আমি অনলাইনে লেখা লেখি করতে পছন্দ করি। বিশেষ করে টেকনোলোজি বিষয়ে লেখা লেখি করতে আমার ভাল লাগে। তাই আপনাদের জন্য আমি এই ওয়েবসাইট টি তৈরি করেছি। এখানে আপনি বাংলাদেশের অনালাইন সম্পর্কিত প্রায় সকল ধরনের তথ্য খুজে পাবেন। ধন্যবাদ।