বাংলাদেশের বাস যানবাহনের মধ্যে একটি হচ্ছে গ্রিন লাইন। সময়ের সেরা ও চাহিদা সম্পর্ন বাস প্রতিষ্ঠান এটি। বাংলাদেশের সকল মহাসড়কে রয়েছে এদের যাতায়াত। দেশের সকল বাস পরিবহন তাদের যাত্রী ভাড়া ও টিকিটের দাম নির্ধারন করেছে। তেমনি গ্রীন লাইনের পরিবহনের বাস ভাড়া নির্ধারিত করা হয়েছে। গন্তব্য স্থান অনুযায়ী যাত্রী ভাড়া কম বেশি হয়ে থাকে। এই বাসে ভ্রমণের পূর্বে গ্রীন লাইন বাস টিকেট প্রাইস সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিৎ, যা এখান থেকে জানতে পারবেন।
গ্রীন লাইন পরিবহন
বাংলাদেশের ভিআইপি বা হাই চয়েস বাসের মধ্যে এটি অন্যতম। সকলের পছন্দের বাস হচ্ছে গ্রীন লাইন বাস লিমিটেড। এই বাসে রয়েছে এসি সার্ভিস। যার যাত্রী ভাড়া অনেক বেশি। দেশের প্রতি সেক্টরে রয়েছে এদের যান যোগাযোগ। প্রতি জেলার প্রতিটি শাখায় পাওয়া যাবে গ্রীন লাইনের বাস কাউন্টার। এসের সাথে যোগাযোগের জন্য আবার নির্দিষ্ট যোগাযোগ নাম্বার আছে। আপনাদের সাথে গ্রীন লাইন পরিবহনের রুট ম্যাপ, লোকেশন ও কাউন্টার গুলো শেয়ার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি এদের অনলাইন টিকিটের দাম গুলো বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে।
গ্রীন লাইন বাস টিকেট মূল্য
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় যাতায়াত বাস গ্রীন লাইন। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা বা বিভাগের মহা সড়কে এই বাস যাতায়াত করে। এই বাসের নির্ধারিত কোনো টিকিট মূল্য নেই। স্থান ভেদে বিভিন্ন জায়গায় গ্রীন লাইন বাসের টিকিটের মূল্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। দেশের প্রায় ৩০ টি মহা সড়কের গ্রিন লাইন টিকিট কাউন্টার রয়েছে। এই এক এক কাউন্টারের টিকিটের মূল্য এক এক রকম। তবে এসি বাসের টিকিটের মূল্য ৯০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকার মধ্যে তাদের এই কাউন্টার থেকে বাসের টিকিটের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আর এই পোস্টের নিচে থেকেও দেখেনিতে পারবেন।
গ্রীন লাইন বাস টিকেট প্রাইস
স্থানভেদে বাসের ভাড়া কম বেশি হয়। যাত্রীদের গন্তব্য স্থান অনুযায়ী টিকিট ক্রয় করতে হয়। আর এই টিকিটের দাম ৩০০ থেকে শুরু করে ২০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া এখানে এসি বাস আছে। এই এসি বাসের টিকিটের দাম নন এসি বাসের থেকে বেশি। গ্রীন লাইন পরিবহনের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া অনলাইনে এদের প্লাটফম আছে। এখান থেকে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
১। ঢাকা- চিটাগং- ঢাকা।
এই লোকেশনে গ্রীন লাইন পরিবহনের যত ভাড়া লাগবে, অন্য লোকেশনের এর থেকে কম বা বেশি লাগতে পারে। এর কারণ এই রুটের জন্য কর্তিপক্ষ টিকিটের দাম নির্ধারন করে দিয়েছে। যদি এসি বাসে যেতে চান, তাহলে আপনাদেরকে এসি টিকিট বুকিং করতে হবে। এজন্য বেশি মূল্য দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করা লাগবে। অনলাইনে বিভিন্ন ই-টিকিটের মাধ্যমেও এসি বা নন এসি বাসের টিকিট গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। ভল্ভো বাস ভাড়া ৯০০-১০০০ টাকা ও স্ক্যানিয়া বাস ভাড়া ১১৫০-১৩০০ টাকা। ডাবল ডেক বাস ভাড়া ১৩০০-১৫০০ টাকা।
২। ঢাকা- কক্সবাজার – ঢাকা।
এই বাস টি ঢাকা থেকে কক্স বাজার যাবে। আবার এই বাসে করেই কক্স বাজার থেকে ঢাকা আসতে পারবেন। এটি হচ্ছে দ্বিমুখী বাস। যার মাধ্যমে সরাসরি ঢাকা টু কক্সবাজার এবং কক্সবাজার টু ঢাকা যাতায়াত করা সম্ভব। এখানে টিকিটের দাম টি দেওয়া আছে। ভল্ভো বাস ভাড়া ১৪০০-১৫০০ টাকা ও স্ক্যানিয়া বাস ভাড়া ১৮০০-২০০০ টাকা। ডাবল ডেক বাস ভাড়া ২০০০-২২০০ টাকা।
৩। ঢাকা- টেকনাফ – ঢাকা।
ঢাকা ও টেকনাফ এর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে গ্রীনল লাইনের বাস যোগাযোগ আছে। যেখানে ঢাকা থেকে টেকনাফ ও টেকনাফ থেকে ঢাকাতে সরাসরি যাতাত্যাত করা যাবে। এখানে টিকিটের প্রাইস ৯০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। এই অংশ থেকে ঢাকা-টেকনাফ-ঢাকা যাত্রী ভাড়া দেখেনিন। ভল্ভো বাস ভাড়া ৯০০-১০০০ টাকা ও স্ক্যানিয়া বাস ভাড়া ১১৫০-১৩০০ টাকা। ডাবল ডেক বাস ভাড়া ১৩০০-১৫০০ টাকা।
৪। ঢাকা- সিলেট – ঢাকা।
সিলেট ও ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করে দিয়েছে গ্রীন লাইন পরিবহন। এই বাসে করে বিরতিহীন ঢাকা থেকে সিলেট এবং সিলেট থেকে ঢাকা অতিক্রমের ব্যবস্থা আছে। এদের এসি ও নন এসি বাসের ভাড়া এক এক রকমের। ভল্ভো বাস ভাড়া ৮০০-১০০০ টাকা ও স্ক্যানিয়া বাস ভাড়া ১০০০-১২০০ টাকা। ডাবল ডেক বাস ভাড়া ১২০০-১৩০০ টাকা।
৫। ঢাকা- বেনাপোল – ঢাকা।
সাধারণত ঢাকা থেকে বেনাপলা যেতে অনেক সময় লাগে। এছাড়া যাত্রা পথে বিভিন্ন গাড়ি পরিবর্তন করলে ভাড়া ও সময় বেশি লাগে। তাই আপনারা চাইলে গ্রীন লাইনের বাসের মাধ্যমে ঢাকা টু বানাপলা বা বেনাপলা টু ঢাকা যাতায়াত করতে পারবেন। এজন্য গ্রীন লাইনের বাস আছে। স্ক্যানিয়া বাস ভাড়া ১১০০-১৩০০ টাকা।
৬। ঢাকা- খুলনা – ঢাকা।
ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব অনেক। এছাড়া সময় লাগে অনেক। তাই সময় অপচয় না করতে চাইলে গ্রীন লাইনে করে ঢাকা থেকে খুলনা আসতে পারেন। আবার ঢাকা ফিরে আসার জন্য খুলনা থেকে ঢাকার গ্রীন লাইনে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। এই দুই অঞ্চলেই এদের বাস পাওয়া যাবে। ভল্ভো বাস ভাড়া ৯০০-১০০০ টাকা।
৭। ঢাকা- রাজশাহী – ঢাকা।
অন্যান্য স্থানের মতো বাংলাদেশের রাজধানী শহর থেকে রাজশাহী যাওয়ার জন্য গ্রীন লাইনের সরাসরি একটি বাস আছে। এই বাসের করে ঢাকা থেকে রাজশাহী ও রাজশাহী থেকে ঢাকা সরাসরি যাতায়াত করতে পারবেন। এখানে এসি ও নন এসি বাসের ভাড়ার মধ্যে ব্যবধান রয়েছে। ভাড়া ১০০০-১২০০ টাকা। ঢাকা-বগুড়া-ঢাকা। ভাড়া ৭০০-৯০০ টাকা
৮। ঢাকা- রংপুর- ঢাকা।
ঢাকা থেকে রংপুর সরাসরি যেতে চাইলে গ্রীন লাইন বাসে যেতে পারবেন। এই পরিবহনে রংপুর থেকেও ঢাকাতে সরাসরি এক বাসে করে ফিরে আসতে পারবেন। এই বাসের ঢাকা থেকে রংপুর ও রংপুর থেকে ঢাকা লেনের যাত্রী ভাড়া ১০০০-১২০০ টাকা।
৯। ঢাকা-বরিশাল- ঢাকা।
ঢাকা টু বরিশাল যাওয়ার জন্য গ্রীন লাইনের বাস রয়েছে। এই বাসে করে ঢাকা থেকে বরিশাল ও বরিশাল থেকে ধাকাত যাতায়াত করতে পারবেন। এদের যাত্রী ভাড়া ৭০০-৯০০ টাকা।
১০।ঢাকা-কলকাতা।
এই বাস বাংলাদেশের বাইরে অর্থাৎ ঢাকা থেকে সরাসরি কলকাতায় নিয়ে যাবেন। যারা ভারতে বা কলকাতা শহরে বেড়াতে যান তারা ঢাকা থেকে গ্রীন লাইনের বাসে যেতে পারেন। ভাড়া ১৫০০-১৮০০ টাকা।
শেষ কথা
স্থানভেদে টিকিটের দাম কম বেশি হয়। এছাড়া একই স্থানের ক্ষেত্রে অন্য বাসের সাথে গ্রীন লাইন পরিবহনের যাত্রী ভাড়া একই হবে না। এই পোস্টে গ্রীন লাইন বাস টিকেট প্রাইস, যাত্রী ভাড়া ও কাউন্টার ঠিকানা সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। যাতায়াতের পূর্বে টিকিটের দাম গুলো জেনে নিবেন।
আরও দেখুনঃ
গ্রীন লাইন বাস কাউন্টার নম্বর ও যোগাযোগের ঠিকানা
হানিফ বাস কাউন্টার নাম্বার ও যোগাযোগের ঠিকানা
আমি সুজন। আমি বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা তে বসবাস করি। বর্তমানে আমি ঢাকা পলিটেকনিকে পড়ালেখা করছি। আমার পড়া লেখার পাশাপাশি আমি অনলাইনে লেখা লেখি করতে পছন্দ করি। বিশেষ করে টেকনোলোজি বিষয়ে লেখা লেখি করতে আমার ভাল লাগে। তাই আপনাদের জন্য আমি এই ওয়েবসাইট টি তৈরি করেছি। এখানে আপনি বাংলাদেশের অনালাইন সম্পর্কিত প্রায় সকল ধরনের তথ্য খুজে পাবেন। ধন্যবাদ।