অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম : অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট আবেদন এবং ডাউনলোড করার নিয়ম, বর্তমানে ২ লাখ টাকার উপরে ব্যাংকে রাখতে গেলেই টিন(TIN) সার্টিফিকেট লাগে। তাই বর্তমানে টিন(TIN) সার্টিফিকেট থাকাটা অত্যন্ত জরুরী, টিন(TIN) সার্টিফিকেট হচ্ছে আপনার ট্যাক্স আইডি নাম্বার আপনার যদি বাৎসরিক তিন লক্ষ টাকার বেশি ইনকাম থাকে তাহলে আপনাকে ট্যাক্স দিতে হবে। আপনি যদি প্রতিবছর ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার সকল সম্পত্তি সরকারি খাতায় বৈধভাবে নিবন্ধিত হবে। তাই যে সকল গ্রাহক দুই লক্ষ টাকার উপরে ব্যাংকে রাখবেন তারা অবশ্যই টিন(TIN) সার্টিফিকেটটি আবেদন করে রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন।
আপনি যদি ব্যাংকে কখনো ২ লক্ষ টাকার উপরে ফিক্সড ডিপোজিট করেন তাহলে সরকার থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভ্যাট কাটবে। আপনার যদি টিন(TIN) আইডি থাকে তাহলে আপনার কাছে থেকে ফিক্সড ডিপোজিট এর লাভের উপরে ১০% ট্যাক্স কর্তন করবে। আর যদি আপনার টিন(TIN) আইডি না থাকে তাহলে লাভের উপরে ১৫% ট্যাক্স কর্তন করবে। তাই আপনারা অনলাইনে টিন(TIN) সার্টিফিকেট আবেদন করে রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন।
অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট আবেদন এবং ডাউনলোড করার নিয়ম
বর্তমানে টিন(TIN) সার্টিফিকেট আবেদন করা ও ডাউনলোড করার খুব বেশি প্রয়োজন কারণ বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে থেকে একটি নতুন নিয়ম জারি করেছে। যে নিয়ম অনুযায়ী আপনি যদি ব্যাংকে ২ লক্ষ টাকার উপরে সঞ্চয় জমা রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে টিন(TIN) সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এবং প্রতিবছর ট্যাক্স রিটার্নের একটি রশিদ ব্যাংকে জমা করতে হবে। ট্যাক্স রিটার্নের রশিদ পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে টিন(TIN) আইডি খুলতে হবে। তাই আপনারা যারা অনলাইনে টিন(TIN) সার্টিফিকেটের আবেদন করে রেজিস্ট্রেশন ও ডাউনলোড করতে চান তারা অবশ্যই আমার এই আর্টিকেলটি পড়বেন আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সাথে টিন(TIN) আইডি নিয়ে আলোচনা হবে।
অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট আবেদন
অনলাইনে আপনি খুব সহজে টিন(TIN) সার্টিফিকেট আবেদন করতে পারবেন, বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি অনলাইনে টিন(TIN) সার্টিফিকেট আবেদন করতে পারবেন। আপনারা গুগল থেকে https://secure.incometax.gov.bd/TINHome এই ওয়েবসাইটে গিয়ে খুব সহজেই আবেদন করে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
প্রথমে উপরের ছবি অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশনে ক্লিক করবেন।
এরপর আপনার সামনে একটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড আসবে আপনার এন আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশনটি সম্পন্ন করুন।
তারপর আপনি নিচে দেখবেন পাসওয়ার্ড চাচ্ছে সেখানে আপনি ০৮ ডিজিটের একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিবেন।
তারপর আপনাকে সিকিউরিটির জন্য একটি প্রশ্ন করা হবে, আপনি সঠিকভাবে সিকিউরিটির প্রশ্নটি উত্তর দিয়ে খালিঘরটি পূরণ করে দিবেন।
আপনাকে অবশ্যই কান্ট্রির জায়গায় বাংলাদেশ সিলেকশন করতে হবে।
আপনার বর্তমান ব্যবহারিত সিম নাম্বারটি দিয়ে খালিঘরটি পূরণ করুন।
যদি আপনার ইমেইল থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ইমেইলটি দিয়ে খালি ঘরটি পূরণ করে দিবেন।
নিচে দেখতে পারবেন ছবিতে কিছু কোড আসবে সেই কোড গুলো দিয়ে খালি বক্সটি পূরণ করুন।
এরপরে আপনার মোবাইল ফোনে ০৬ ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে ওই কোডটি দিয়ে আপনার একাউন্টে এক্টিভ করে নিবেন।
এরপরে আপনি ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে পুনরায় লগইন করুন আপনার অ্যাকাউন্টে।
এরপর আপনার একাউন্টে ইংরেজি এবং বাংলায় ট্যাক্সপিয়ার স্ট্যাটাস এবং করদাতার স্ট্যাটাস পূরণ করতে হবে।
যদি আপনার এনআইডি থাকে তাহলে আপনি এনআইডি কার্ড দিয়ে একাউন্ট করতে পারবেন।
আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের নিচে হয় তাহলে আপনি একাউন্ট করতে পারবেন না।
এরপরে আপনার সমস্ত স্থায়ী ঠিকানা বর্তমান ঠিকানা এবং বিভিন্ন রকম তথ্য যাবে সেই তথ্যগুলো দিয়ে ফর্মটি পূরণ করে সেভ করে নিন।
অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার নিয়ম
অনলাইনে টিন(TIN) সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার নিয়ম খুব সহজ, প্রথমে আপনি এই ঠিকানায় ঢুকে আপনার একাউন্টে লগ-ইন করবেন। টিন(TIN) সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন করার পরে টিন(TIN) সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা প্রয়োজন। আপনারা অনলাইনে টিন(TIN) সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার জন্য নিচের লেখাগুলো ভালোভাবে পড়ুন।
প্রথমে এনবিআর এর ওয়েবসাইটে ঢুকবেন, এরপর উপরের ছবি অনুযায়ী লগইন বাটনে ক্লিক করবেন।
ইউজার আইডির জায়গায় আপনার ইউজার আইডির নাম দিবেন এবং পাসওয়ার্ড এর জায়গায় আপনার পাসওয়ার্ডটি দিবেন।
এরপর আপনার একাউন্টে ঢুকে সেখানে দেখতে পারবেন একটি ডাউনলোড অপশন আছে।
ডাউনলোড অপশন থেকে আপনার টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নিন।
প্রিন্টারের মাধ্যমে রঙিন প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করে রাখুন।
টিন সার্টিফিকেট কেন দরকার
ব্যবসা শুরু করতে ট্রেড লাইসেন্স নিতে।
গাড়ির মালিক হতে এবং ক্রেডিট কার্ড পেতে।
বর্তমানে পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনে জমি বা ফ্লাট ক্রয় বিক্রয় টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়।
কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনতে ও নিজের কোম্পানি নিবন্ধন করতে।
নির্বাচনে প্রার্থী হতে এবং কোনো পণ্য আমদানির লাইসেন্স নিতে।
মুক্ত পেশাজীবী যেমন হিসাবরক্ষক এবং সঞ্চয়পত্র কিনতে।
আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলীদের পেশার চর্চা করতে।
ব্যবসায়িক সমিতি বা কোনো নিবন্ধিত সংগঠনের সদস্য হতে।
সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানিতে টেন্ডার জমা দিতে টিন আইডি প্রয়োজন হয়।
যদি আপনার বাৎসরিক তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ইনকাম না থাকে তাহলে আপনাকে ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে না। কিন্তু আপনার বাধ্যতামূলকভাবে টিন সার্টিফিকেট থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে একটি টিন সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন করে নিয়ে ডাউনলোড করতে হবে।
টিন সার্টিফিকেট নিয়ে কিছু কথাঃ
আপনার যদি একটি টিন (TIN) সার্টিফিকেট থাকে তাহলে অবশ্যই প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময় ট্যাক্স রিটার্ন করবেন। যদি আপনার বাৎসরিক তিন লক্ষ টাকার বেশি ইনকাম থাকে তাহলে আপনি ট্যাক্স পেমেন্ট করবেন আর যদি আপনার বাৎসরিক তিন লক্ষ টাকার নিচে ইনকাম থাকে তাহলে আপনাকে জিরো ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হবে। আপনার সমস্ত স্থাবর অস্থাবর টাকা-পয়সা বৈধভাবে রাখতে হলে অবশ্যই আপনার টিন (TIN) সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। তাই আপনারা অনলাইনে থেকে টিন(TIN) সার্টিফিকেট আবেদন করে রেজিস্ট্রেশন এবং ডাউনলোড করে নিন।
আমি সুজন। আমি বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা তে বসবাস করি। বর্তমানে আমি ঢাকা পলিটেকনিকে পড়ালেখা করছি। আমার পড়া লেখার পাশাপাশি আমি অনলাইনে লেখা লেখি করতে পছন্দ করি। বিশেষ করে টেকনোলোজি বিষয়ে লেখা লেখি করতে আমার ভাল লাগে। তাই আপনাদের জন্য আমি এই ওয়েবসাইট টি তৈরি করেছি। এখানে আপনি বাংলাদেশের অনালাইন সম্পর্কিত প্রায় সকল ধরনের তথ্য খুজে পাবেন। ধন্যবাদ।