এই পোস্ট থেকে এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম জ্ঞানমূলক প্রশ্ন সংগ্রহ করতে পারবেন। যা ক নাম্বারের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এই গল্পে বাংলাদেশে মুক্তি যুদ্ধের সংগ্রামের কথা প্রকাশ করা হয়েছে। গল্প টি শেখ মুজিবুর রহমান নিজে লিখেছেন। তার লেখা এই গল্পের মাধমে স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তি যুদ্ধের চেতনা প্রকাশ করেছে।
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
এখানে কয়েক টি এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর দেওয়া আছে। এই প্রশ্ন গুলো পড়ার মাধ্যমে সৃজনশীল প্রশ্নের ক নাম্বার সম্পর্কে জানতে পারবেন।
প্রশ্ন-১। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবে জন্মগ্রহণ করেন ?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন-২। রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম কী ?
উত্তরঃ রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম সােহরাওয়ার্দি উদ্যান।
প্রশ্ন-৩। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটিকে কার ভাষণের সাথে তুলনা করা হয় ?
উত্তরঃ ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ঐতিহাসিক গেটিসবার্গ ভাষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
প্রশ্ন-৪। ব্যারাক কী ?
উত্তরঃ ব্যারাক হচ্ছে-সেনাছাউনি।
প্রশ্ন-৫। অস্থায়ী বাংলঅদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতির নাম কী ?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি।
প্রশ্ন-৬। সামরিক বাহিনীর লােকদের কোথায় ফেরত যেতে বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ সামরিক বাহিনীর লােকদের ব্যারাকে ফেরত যেতে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন-৭। প্রেসিডেন্ট হিসেবে কে অ্যাসেম্বলি ডেকেছিলেন ?
উত্তরঃ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইয়াহিয়া খান অ্যাসেম্বলি ডেকেছিলেন ।
প্রশ্ন-৮। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে কী পালন করতে বললেন ?
উত্তরঃ হরতাল পালন করতে বললেন।
প্রশ্ন-৯। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার ভাষটি কত তারিখে দেওয়া হয় ?
উত্তরঃ ৭ই মার্চ দেওয়া হয়।
প্রশ্ন-১০। কত সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৬ দফা কর্মসূচি ঘােষণা করেন?
উত্তরঃ ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৬ দফা কর্মসূচি ঘােষণা করেন।
প্রশ্ন-১১। শেখ মুজিবুর রহমান কত সালে বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হন ?
উত্তরঃ শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হন ।
প্রশ্ন-১২। আরটিটিস এর পূর্ণরূপ কী ?
উত্তরঃ আরটিসি এর পূর্ণরূপ রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স বা গােলটেবিল বৈঠক।
প্রশ্ন-১৩। আইয়ুব খানের পতন হয় কত সালে ?
উত্তরঃ ১৯৬৯ সালে।
প্রশ্ন-১৪। কত সালে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল ?
উত্তরঃ ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল ।
প্রশ্ন-১৫। ইয়াহিয়া খান কত তারিখে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করেছিলেন ?
উত্তরঃ ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেছিলেন।
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন-১। “তােমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা” বলতে কী বােঝানাে হয়েছে ?
উত্তরঃ “তােমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা-বলতে বাঙালি জাতির বােঝাতে চেয়েছে যে, নদীবিধৌত এ পূর্ব বাংলা তাদের ঠিকানা। বাংলার মানুষের অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে বাংলা নদ-নদী। এই নদীবিধৌত পূর্ব বাংলা বাঙালির প্রকৃত ঠিকানা। এই পরিচয় বাংলার মানুষের শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ১৯৭১ সালে। প্রতিবাদী মানুষ এদেশের প্রকৃতি পরিবেশ ও নদীকে অস্তিত্বে গেঁথে নেয়। তাই তারা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের প্রকাশ ঘটনায় প্রশ্নোক্ত উক্তিটির মাধ্যমে।
প্রশ্ন-২। “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’-উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তরঃ “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”-বলতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বুঝানাে হয়েছে।১৯৫২ সালের বাংলাদেশের মানুষ ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছে, প্রাণ দিয়েছে। ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে এ দেশের ছেলেদের হত্যা করা হয়েছে । ১৯৬৯ সালে এ দেশের মানুষ স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের পতনের জন্য সংগ্রাম করেছে। কিন্তু ১৯৭১ সালের সংগ্রামে সবকিছু ঝাপিয়ে প্রধান হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা;দীর্ঘদিনের পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্তি। তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে বলেছিলেন-“এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
প্রশ্ন-৩। “ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তােল” এ আহ্বান করা হয়েছিল কেন ?
উত্তরঃ স্বৈরাচারী শাসকগােষ্ঠী যাত এদেশের মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করতে না পারে সে জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘প্রত্যেকের ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তােল’ কথাটি বলেছিলেন।১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে শাসক গােষ্ঠী বাঙালিদের ওপর শােষণ করতে থাকে। এর বিরুদ্ধে বাঙালিরা বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করে। প্রতিবারই শাসকদের নির্দেশ নির্বিচারে তাদের হত্যা করা হয়। তাদের এই অন্যায় আচরণ আর শােষণের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণে বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধ করে শত্রুদের বিরুদ্ধে। সর্বাত্মক আন্দোলনের প্রস্ততি নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি এদেশের সর্বস্তরের মানুষকে বলেন-“প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তােল।
প্রশ্ন-৪। ইয়াহিয়া খান কীভাবে গণতন্ত্র হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন ?
উত্তরঃ ইয়াহিয়া খান সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে নানা তালবাহানা করে গণতন্ত্র হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন।১৯৬৯ সালের আন্দোলনে আইয়ুব খানের পতন হওয়ার পর ইয়াহিয়া খান প্রেসিডেন্ট হন। তিনি শাসনতন্ত্র ও গনতন্ত্র দেওয়ায় ঘােষণা দেন। ১৯৭০ সালে নির্বাচন দেন। মেজরিটি পার্টির নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৫ই ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদর অধিবেশন আহ্বানের অনুরােধ করেন। কিন্তু জুলফিকার আলী ভুট্টোর কথায় তা মার্চের প্রথম সপ্তাহে আহ্বান করলেন। আলোচনা হয়। কিন্তু ১ তারিখে অধিবেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদেশের মানুষ যখন তখন প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠলে তাদের ওপর গুলি করা হয়। পরবর্তীতে ১০ তারিখে রাউন্ড টেবিল কনফারেন্সের কথা বলা হয় বঙ্গবন্ধুর সাথে আলাপ না করেই। তিনটি শর্ত মেনে নিলে অধিবেশনে যােদান করার কথা জানিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু ।কিন্তু ইয়াহিয়া খান সেই শর্ত না মেনে গণতন্ত্র হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন।
প্রশ্ন-৬। “আমরা বাঙালিরা যখনই ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করেছি, তখনই তারা আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছে”-কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তরঃ এদেশের মানুষ যখন ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করেছে, তখনই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকরা এদেশের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে।অত্যাচারের কঠিন খড়গ। পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের ওপর একচেটিয়া শােষণ চালাত। এদেশের মানুষ নিজের টাকা দিয়ে অস্ত্র। কিনেছিল এদেশকে শত্রুর হাত থেকে বাঁচানাের জন্য। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানিরা সেই অস্ত্র দিয়েই খালি করেছে এদেশের অসংখ্য মায়ের কোল। বাঙালি যতবারই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে, যতবার ক্ষমতায় যেতে চেষ্টা করেছে তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
শেষ কথা
আশা করছি এই পোস্ট আপনাদের ভালোলেগেছে এবং এখান থেকে এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য পেতে আমার সাথেই থাকুন। এই ওয়েবসাইটে শিক্ষামূলক পোস্ট শেয়ার করা হয়।
আরও দেখুনঃ
তৈলচিত্রের ভূত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর। পিডিএফ