গুনগত রসায়ন সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর সাজেশন- এইচএসসি। PDF

এইচ এস সি ২০২৩ পরীক্ষার্থীদের জন্য রসায়ন ১ম পত্রের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। যার মধ্যে ১ম পত্রের ২য় অধ্যায় টি রয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। প্রতি বছর প্রত্যেক বোর্ডের এই অধ্যায় থেকে সৃজনশীল প্রশ্ন করা হয়। এই পোস্টে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য রসায়ন ১ম পত্রের গুনগত রসায়ন সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ শেয়ার করা হয়েছে।

এই প্রশ্ন গুলো মূল বইয়ে নেই। বোর্ড প্রশ্ন গুলো এই ধরনের হয়ে থাকে। তবে হুবহু কমন পড়বে এমন টা নয়। অনেকের কাছে গাইড বই নেই। তারা এই পোস্টে দেওয়া গুণগত রসায়ন গাণিতিক সমস্যা pdf সংগ্রহ করুন।

গুনগত রসায়ন সৃজনশীল প্রশ্ন

এখানে গুনগত রসায়ন সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হয়েছে। যারা যারা প্রশ্ন গুলো পড়তে চান, এই অংশ থেকে পড়ে নিবেন।

সৃজনশীল ১ঃ 

ক. স্ফুটনাঙ্ক কাকে বলে?
খ. প্লাঙ্কের সমীকরণটি প্রতিষ্ঠা করো।
গ. উদ্দীপকের পরীক্ষার সাহায্যে Au পরমাণুতে নিউক্লিয়াসের উপস্থিতি তুমি কীভাবে শনাক্ত করবে?
ঘ. পরমাণুর গঠন আবিষ্কারে উদ্দীপকের পরীক্ষাটির গুরম্নত্ব বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল ২ঃ 

ক.ক. s অরবিটালের আকৃতি কীরূপ ?
খ. ‘পরমাণুসমূহ অবিভাজ্য নয়’- ব্যাখ্যা কর।
গ. Z শক্তিস্তরের জন্য ও m এর মান নির্ণয় করে এতে উপস্থিত মোট ইলেকট্রন সংখ্যা নির্ণয় কর।
ঘ. পরমাণুর সৌরজগৎ মডেলের সাথে চিত্র A এর মডেলের তুলনামূলক আলোচনা কর।

সৃজনশীল ৩ঃ 

একটি রঙিন লবণ পানিতে অদ্রবণীয় হলেও লঘু HCIএ বুদবুদসহ দ্রবীভূত হয়। এ দ্রবণের্একাংশে পটাসিয়াম ফেরোসায়ানাইট দ্রবণ যোগ করলে বাদামী অধঃক্ষেপ পড়ে। আবার দ্রবণের অপর অংশে অ্যামোনিয়াম হাইড্রক্সাইড দ্রবণ যোগ করতে থাকলে প্রথমে নীল অধঃক্ষেপ পড়ে এবং পরে এ অধঃক্ষেপ দ্রবীভূত হয়ে গাঢ় নীল দ্রবণ সৃষ্টি হয়। এ দ্রবণ Pt তাড়ে স্পর্শ করে দীপ শিখায় ধরলে সবুজ শিখার সৃষ্টি হয়।

ক. কোন ধরনের ধাতুর যৌগসমূহ রঙিন হয়?
খ. উদ্দীপকে বর্ণিত লবণটিতে উপস্থিত অম্লীয় মূলক কী? সমীকরণসহ বুঝিয়ে লেখো।
গ. শিখা পরীক্ষা ও পটাসিয়াম ফেরোসায়ানাইড দ্রবণ পরীক্ষা উলেস্নখ করে দেখাও লবণে উপস্থিত ক্ষারকীয় মূলকটি কী?
ঘ. ধাতব আয়নের সঙ্গে NH4OH এর বিক্রিয়া সমীকরণসহ ব্যাখ্যা কর। উদ্দীপকে উল্লিখিত দুটি জটিল যৌগের গঠন লিখ।
যৌগ দুটোতে কী কী লিগ্যান্ড রয়েছে?

গুনগত রসায়ন সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

উত্তর ১ঃ 

(ক). যে তাপমাত্রায় কোন তরল পদার্থ ফুটতে শুরম্ন করে তাকে ঐ তরলের স্ফুটনাঙ্ক বলে।

(খ). বিজ্ঞানী ম্যাক্স প্লাঙ্কের মতে, পদার্থ নিরবচ্ছিন্ন নয়, পদার্থ হতে বিকিরিত শক্তি ক্ষুদ্র্র্র্র ক্ষুদ্র প্যাকেট আকারে নির্গত হয়। শক্তির এ এককের নাম ফোটন। ফোটনের শক্তির পরিমাণ (E) এর বিকিরণের স্পন্দন সংখ্যার (V) সমানুপাতিক।
অর্থাৎ E
বা, E=hv
এ সমীকরণকে প্লাঙ্কের সমীকরণ বলে। এখানে হলো প্লাঙ্ক ধ্রুবক।এর মান 6.636×10-34Js

(গ). উদ্দীপকের চিত্রটি বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড কর্তৃক নিউক্লিয়াস আবিষ্কারের পরীক্ষা। নিচে এ পরীক্ষার সাহায্যে Au রমাণুতে নিউক্লিয়াসের উপস্থিতি শনাক্তকরণের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হলো- তেজষ্ক্রিয় পদার্থ হতে বিকিরিত রশ্নিকে খুব পাতলা (0.0004 cm) Au মৌলির পাত বা ধাতব স্বর্ণপাতের ওপর আপতিত করলে দেখা যাবে যে, অধিকাংশ কণাই স্বর্ণপাত ভেদ করে চলে যায়। অতি অল্প সংখ্যক কণা ধাতব পাতে আঘাত করে তাদের নিজ সরলরৈখিক গতিপথ হতে বেঁকে যায় এবং প্রায় প্রতি ২০ হাজার কণিকার মধ্যে একটি পুরো বেঁকে চলে সোজা বিজরীত দিকে ফিরে আসে।

এ পরীক্ষা হতে বুঝা যায় যে, কণা যেহেতু ধানাত্মক আধানবিশিষ্ট, অতএব পরমাণুর অভ্যন্তরে অবশ্যই এমন কোনো ধানাত্মক অংশ আছে যা ধনাত্মক কণাকে বিকর্ষণ করে বিচ্যুতি ঘটায়। কিন্তু অসংখ্য কণার মধ্যে যেহেতু কয়েকটিমাত্র কণা বেশি কোণে বিচ্যুত হয়ে, অতএব পরমাণুর সমগ্র ধনাত্মক আধান তার কেন্দ্রস্থলে অতিক্ষুদ্র একটি পরিসরে পুঞ্জীভহত হয়ে থাকে, যাকে পরমাণুর নিউক্লিয়াস বলা হয়। এভাবে পরমাণুর কেন্দ্রস্থলে নিউক্লিয়াসের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়।

ঘ). পরমাণুর গঠন সম্পর্কে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন ডাল্টনের মতবাদ ছিল পরমাণু অবিভাজ্য। কিন্তু আধুনিককালে বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন, পরমাণুও বিভাজ্য। পরমাণুকে ভাঙলে উলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন নামক মূল কণিকা পাওয়া যায়। আবার একটি পরমাণুর গঠনে সাধারণত দুটি অংশ থাকে। একটি নিউক্লিয়াস এবং অপরটি বহিস্থ শক্তিস্তর। নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রনের অবস্থান করে এবং উদ্দীপকে আলোচিত পাতলা স্বর্ণপাতের উপর কণিকা বিক্ষেপণ পরীক্ষার মাধ্যমে সর্বপ্রথম নিউক্লিয়াস আবিষ্কৃত হয়। এ পরীক্ষা অনুসারে, পরমাণুর কেন্দ্রে তার সবটুকু ভর ও ধানাত্মক চার্জ পুঞ্জীভুত থাকে, যার নাম নিউক্লিয়াস। এর আয়তন সমগ্র পরমাণুর আয়তনের তুলনায় নগণ্য।

এ পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে পরমাণুর প্রকৃত গঠন সম্পর্কে বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্ন মতবাদ উপস্থাপন করেন যা পরমাণু মডেল নামে পরিচিত।যেমন- থমসন পরমাণু মডেল, রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল, বোর পরমাণু মডেল, বোর-সমারফিল্ড পরমাণুর মডেল ইত্যাদি।

উত্তর ২ঃ

(ক). s অরবিটাল গোলাকার।

(খ). ডাল্টনের পরমাণুবাদ’ তত্ত্বানুযায়ী পরমাণুসমূহ অবিভাজ্য। কিন্তু বিংশ শতাব্দীতে পরমাণুর সাতটি কণিকার অসিত্মত্ত্ব পরওয়া যায়। এদের মধ্যে তিনটি স্থায়ী মূল কণিকা। অর্থৎ পরমাণুকে ভাঙলে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন পাওয়া যায়। যা পরমাণুসমূহ বিভাজ্য বলে প্রমাণ করে।

(গ). পরমাণুর যে কোন শক্তি স্তরে   ও m এর মান ঐ শক্তি স্তরের প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা n এর উপর নির্ভরশীল। উদ্দীপকের Z শক্তিস্তরের জন্য প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা, n=3
সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা,   =0 থেকে (n-1)
=0,1 ও 2
m এর মান   এর মানের উপর নির্ভরশীল।
=0 হলে m=0 3s উপস্তরে ১টি অরবিটাল
=1 হলে 3p উপস্তরে ৩টি অরবিটাল
=2 হলে 3d উপস্তরে ৫টি অরবিটাল
অতএব, Z শক্তিস্তরে মোট অরবিটাল সংখ্যা=1+3+5
=9
এখন, প্রতিটি অরবিটালে ২টি ইলেকট্রন থাকতে পারে।
Z অরবিটালে উপস্থিত ইলেকট্রন সংখ্যা = 9 × 2 = 18

(ঘ). বোর পরমাণু মডেলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ইলেকট্রনের অবস্থানের জন্য নির্দিষ্ট শক্তিস্তরের অসিত্মত্ব।
উদ্দীপকের চিত্রটিতে ইলেকট্রন আবর্তনের বিভিন্ন নির্দিষ্ট শক্তিস্তরের অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অতএব এটি বোর পরমাণু মডেল। সৌর জগতের সাথে তুলনা করে রাদারফোর্ড তার পরমাণু মডেল বর্ণনা করেন। রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলে একাধিক ইলেকট্রনের অবস্থান নিয়ে কিছু বলা হয়নি কিন্তু শক্তিস্তরের বিন্যাসের কারণে একাধিক ইলেকট্রনের অবস্থান বোঝা যায়।

এছাড়াও ইলেকট্রন যদি সৌরজগতের গ্রহের মত নিউক্লিয়াসের চারপাশে আবর্তিত হতে থাকে তবে তা শক্তি বিকিরণ করতে করতে কেন্দ্রে পতিত হবে। ফলে পরমাণু মহেলটির আর অসিত্মত্ব থাকবে না। কিন্তু বোরের মডেল অনুযায়ী একটি ইলেকট্রন একটি নির্দিষ্ট শক্তিস্তরে অবস্থান করে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তি গ্রহণ বা বিকিরণ করে যথাক্রমে উপরের বা নিচের শক্তিস্তরে গমন করে।

রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল একটি ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণু যেমন হাইড্রোজেন পরমাণু জন্য আবর্তন ব্যাখ্যা করতে পারলেও একাধিক ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণুর জন্য কোন ব্যাখ্যা দেয় না। কিন্তু বোরের মডেল দ্বারা এই ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব।

উত্তর ৩ঃ

(ক). d- ব্লক অন্তর্গত অবস্থান্তর ধাতুসমূহের যৌগ রঙিন হয়।

 (খ). যেহেতু রঙিন লবণটি পানিতে অদ্রবণীয় হলেও HCI এ বুদবুদসহ দ্রবীভূত হয় তাই অম্লীয় মূলকটি CO32-। কারণ-
HCl+CO32- ক্লোরাইড লবণ+H2O+CO2
CO2 গ্যাস বুদবুদ আকারে বের হয়ে উৎপন্নCO2 লবণে CO32- মূলকের উপস্থিতি নিশ্চিত করে।

(গ). ঘন হাইড্রোক্লোরিক এসিড সিক্ত উদ্দীপকের লবণ অনুজ্জ্বল শিখায় প্রবেশ করালে সবুজাভ নীল রঙ দেখা যায় যা লবণে Cu2+ আয়নের উপস্থিতি নিশ্চিত করে।

উদ্দীপকের লবণের দ্রবণে কয়েক ফোঁটা পটাশিয়াম ফেরোসায়ানাইড দ্রবণ যোগ করা হলে লালচে বাদামী বর্ণের কপার ফেরোসায়ানাইডের অধঃক্ষেপ পড়ে; যা Cu2+ আয়ন উপস্থিত নিশ্চিত করে।
রাসায়নিক বিক্রিয়া:
2Cu2++K4[Fe(CN)6]→Cu2[Fe(CN)6]↓+4k+
লালচে বাদামী অধঃক্ষেপ

(ঘ). কপার আয়নে(Cu2+) ধীরে ধীরে দ্রবণ যোগ করলে প্রথমে ক্ষারকীয় কপারের নীল অধঃক্ষেপ পড়ে। পরে অতিরিক্ত দ্রবণ যৌগে টেট্রা অ্যামিন কিউপ্রিক আযনের গাঢ় নীল দ্রবণ সৃষ্টি হয়।
টেট্রা অ্যামিন কিউপ্রিক
আয়নের গাঢ় নীল দ্রবণ
উদ্দীপকের ২টি জটিল যৌগ হল-
গঠন

শেষ কথা

এখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া আছে। এর পাশাপাশি আরও কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন অনুশীলন করবেন। এজন্য পাঠ্য বইয়ের সম্পূর্ণ পাঠ গুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। এই রকম আরও সাজেশন ও প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করতে আমার সাথেই থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *